ঘাটাইল উপজেলার ৩ নং জামুরিয়া ইউনিয়নের হেলনা পাড়া গ্রাম। বহু বছর ধরে বর্ষা মানেই ছিল আতঙ্ক, ভাঙন, আর হারিয়ে যাওয়া ফসল। আজ সেই গ্রামের মানুষগুলোর চোখে জল, কিন্তু এবার তা ভয়ের নয়, স্বস্তির। কারণ বহু প্রতীক্ষার পর শুরু হয়েছে হেলনা পাড়ার প্রতিরক্ষা দেয়াল, একটি বেরীবাঁধ নির্মাণ। ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে শুরু হওয়া এই বেরীবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি যেন এলাকার মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। প্রতিবছর বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ফসলের জমি, নষ্ট হয়ে যাওয়া জীবিকা, আর দুর্ভোগের কাহিনি এবার হয়তো ইতিহাস হয়ে যাবে। ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ৩ নং জামুরিয়া ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বন্দে আলী মিয়া বলেন,এই বাদ নির্ণানের ফলে এই অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। কৃষকের কণ্ঠে আশার সুর”যখন শুনলাম বাঁধ হবে, প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি,” বললেন ষাটোর্ধ্ব এক কৃষক। “আমার বাবাও দেখেছে এই জমি পানিতে তলিয়ে যেতে। আজ আমি দেখছি বাঁচার আলোর দিশা।” তিনি আরো বলেন, “এখন আশা করি এই জমিতে শুধু ধান নয়, গম আর সবজি চাষ করেও বাঁচতে পারবো। তিন ফসলি জমির স্বপ্ন এবার সত্যি হবে।” নারী ও শিশুদের জন্যও বদলে যাবে জীবনধারা এই বেরীবাঁধ শুধু কৃষিকাজই নয়, নারীদের জীবিকায়ন ও শিশুদের নিরাপত্তার দিক থেকেও একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের মানবিক উদ্যোগ ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের সময়োপযোগী এবং মানবিক উদ্যোগ স্থানীয় মানুষদের মন জয় করেছে। এলাকাবাসী অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রশাসনকে। তাঁরা চান, এমন প্রকল্প যেন আরও বেশি হয়, যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পায়। হেলনা পাড়ার এই বেরীবাঁধ শুধু একটি মাটির দেয়াল নয়—এটি একটি স্বপ্ন, একটি প্রতিজ্ঞা, যা দুর্দশা থেকে মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ যেখানে ভয় ছিল, সেখানে এখন ভরসা। এই বাঁধ গ্রামের মানুষকে শুধু রক্ষা করবে না, বরং তাদের জীবনযাত্রাকে বদলে দেবে—স্থায়ী ও টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এক নতুন ভোরের দিকে।