বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ফেডারেশন জিয়ানগর উপজেলা কমিটির পরিচিতি ও সাধারণ সভা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে কয়েক শতাধিক জেলে ও মৎস্য জীবীদের অংশগ্রহণে এ পরিচিতি ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর-০১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, আল্লামা সাঈদীর সুযোগ্য পুত্র, জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী।
মোঃ কাউসার শেখ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মদ আলী।
মোহাম্মদ কাওসার শেখের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ফেডারেশন জিয়ানগর উপজেলার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা আলী হোসেন,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সহ মৎস্যজীবী ফেডারেশন উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মাসুদ সাঈদী বলেন, বংশ পরস্পরায় যারা জেলে,মাছ শিকার ছাড়া যাদের জীবিকার অন্য কোন উপায় নেই সেই সব প্রকৃত জেলেদের অনেকেই এখনো সরকারি তালিকায় নিবন্ধিত হতে পারেননি,নিবন্ধন না থাকায় তারা কোন খাদ্য সহায়তা বা সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না,আবার কার্ড ধারী হলেও তারা টাকা দিতে না পারার কারণে তাঁদের নাম তালিকায় থাকে না ফলে পেটের দায়ে মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ও ঝুঁকি নিয়ে আইন অমান্য করে তারা নদীতে নেমে আটক হন কিংবা নির্যাতনের শিকার হন,হারিয়ে ফেলেন তাদের জাল নৌকা। গত ১৫ বছর ধরে এমনটাই চলেছে এমনকি ৫ আগস্টের পর এখনো এমন দৃশ্য বাংলাদেশের কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন,জেলেদের সঠিক কোন তালিকা অতীতে তৈরি করা হয়নি, অতিতে আওয়ামী লীগ ও তাদের বিনা ভোটের এমপি,চেয়ারম্যানরা তাদের নিকটাত্মীয় ও নিজেদের লোকদের নিয়ে জেলেদের তালিকা তৈরি করে অন্য পেশা কিংবা সচ্ছল ব্যক্তিরা জেলে হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের করা অতীতে এসব তালিকা বাতিল করে প্রকৃত জেলেদেরকে তালিকাভুক্ত করতে হবে।
জেলে ও মৎস্যচাষীদের অভুক্ত রেখে বা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জিত হবে না। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ না ধরার জন্য সরকারর যে আইন আছে সে আইন মেনে জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ রেখে এই সময় নদী ও সাগর উপকূলবর্তী ইলিশ ধরা জেলেরা আর্থিক সংকটে পরে, এ সংকট উত্তরণে সরকার তাদের জন্য বরাদ্দ করেছে চাল, কিন্তু সিংহভাগ জেলেরাই থাকছে এ সুবিধার বাইরে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ৪০ কেজি সুপারিশ করলেও মিলছে অর্ধেক ২০ কেজি বা তার একটু বেশি তাও তারা নিয়মমাফিক পাচ্ছেন না বলে আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেনেছি। এই অবস্থা পরিত্রাণের জন্য সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মৎস্যজীবীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে তাদেরকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবেনা। আগামী দিনে সংগঠনের কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করতে হবে।
সভায় মৎস্যজীবীরা তাদের জীবন জীবিকা পরিচালনায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে ধরেন। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের অধীনে তাদের উপর নানামুখী অন্যায় অত্যাচার মিথ্যে মামলা এবং অনিয়ম চলছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা মৎস্যজীবীদের সমস্যা অধিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
