বরিশালের বানারীপাড়ায় দেশীয় প্রজাতির মাছ ধংসকারী অবৈধ বেহুন্দী ও চায়না দুয়ারি জাল জব্দ।
২৮ মে সকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন রজনী নেতৃত্বে সদর ইউনিয়নের কাজলাহার গ্রামের মৎস্য দপ্তরের অভিযানে পরিচালনা করে এই ক্ষতিকর অবৈধ বেহুন্দী জাল জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও সন্ধ্যা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ১৮ টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করা হয়। অভিযানে জব্দকৃত জাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: বায়েজিদুর রহমান নির্দেশে ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উপস্থিতিতে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
উক্ত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়া মৎস্য দপ্তরের ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট জয়দেব সমদ্দার, মেরিন ফিশারিজ সহকারী হুমায়ুন কবির, কাজল রেখা গননাকারী প্রসেনজিৎ বড়াল, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প মাঠ সহায়ক কর্মী মো: সুমন হাওলাদার ও এনামুল কবির। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন রজনী বলেন আমি ও আমার টিম উপজেলার নিষিদ্ধ জাল সহ সকল অবৈধ জাল বন্ধ করে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা ও নিরাপদ অভয় আশ্রমের ব্যবস্থা করবো। তবে এই কাজে আপনাদের সবার সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। স্থানীয় জনগণ আমাদের সহায়তা করলে আমরা অবৈধ জাল জব্দ করতে পারবো। তিনি আরো বলেন সকল ধরনের মাছের ডিম পোনা সহ মাছের বংশ শেষ করে এই ক্ষতিকর অবৈধ বেহুন্দী জাল। এছাড়াও চায়না দুয়ারি জাল দেশীয় প্রজাতির মাছ ধংস হচ্ছে। ইলিশ সম্পদের টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা আহরণ, বিক্রয়, বিপণন ও মজুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ জাল জব্দ, করাসহ বিভিন্ন ভাবে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। স্থানীয় সুশীল সমাজ জানান, মৎস্য দপ্তরে নিয়মিত অভিযানে ভেজাল মাছ বিক্রয় কমছে। আমাদের সকলের সচেতনতায় বাড়বে দেশীয় প্রজাতির মাছ।