আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী। “চির উন্নত মম শির” উচ্চারণে যিনি বাঙালির আত্মমর্যাদাকে গর্বিত করেছিলেন, সেই বিদ্রোহের অগ্নিকণ্ঠ কবিকে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে জাতি। জাতীয় পর্যায়ে এ বছর কুমিল্লায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘নজরুলজয়ন্তী’। এবারের প্রতিপাদ্য—‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’—কবির বিপ্লবী চেতনার এক তাৎপর্যময় পুনরাবৃত্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরুল স্মরণে প্রভাতফেরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আজ ভোরে একত্রিত হন অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে। সেখান থেকে বের হয় প্রভাতফেরি, উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে গমন করা হয় কবির সমাধিতে। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও পরবর্তীতে সমাধি চত্বরে আয়োজিত হয় স্মরণসভা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, এ আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত। নজরুল—সময়ের চেয়ে এগিয়ে এক পুরুষ কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন শুধু কবি নন, ছিলেন বিপ্লবী, মানবতাবাদী ও সাম্যের অগ্রদূত। তিনি বাংলার চেতনায় এনেছিলেন বিদ্রোহের আগুন, হৃদয়ে ঢেলে দিয়েছিলেন প্রেমের সুধা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মুক্তির স্বপ্নই ছিল তাঁর সৃষ্টির মূলসুর। কবির উত্তরাধিকার আজও প্রাসঙ্গিক এই যান্ত্রিক সময়েও নজরুলের কলমে লেখা বিদ্রোহ, সাম্য ও সম্প্রীতির বাণী আমাদের সাহস জোগায়। তাঁর চেতনা শুধু অতীত নয়, আগামী দিনের পথনির্দেশও। জাতীয় কবির প্রতি শতভাগ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আজ তাঁকে স্মরণ করছে পুরো বাংলাদেশ।