টিআইবি’র সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) বরগুনা এর উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন কর্মসূচির আওতায় বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বন্ধে ও প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ জোরদার করার দাবি নিয়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বরগুনা প্রেসক্লাব, ব্র্যাক, জাগো নারী, রূপান্তর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিডি ক্লিন, বরগুনা সাইন্স সোসাইটি, সনাক, এসিজি, ইয়েস ও আছিয়া এন্তাজ ফাউনেডশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বন্ধে সাধারন জনগণকে উৎসাহিত করেন।
কর্মসূচি চলাকালে আলোচনা করেন সনাক সভাপতি মনির হোসেন কামাল, জাগোনারীর প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসি, সনাক সদস্য ডা. মনিজা জলি, রূপান্তরের সমন্বয়ক খলিলুর রহমান ও ইয়েস সদস্য মো. সফিক।
প্লাস্টিক দূষণের নেতিবাচক প্রভাব সম্বন্ধে জনসচেতনতা তৈরি করা এবং ভোক্তাদের প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার না করতে উদ্বুদ্ধ করা এবং প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ জোরদার করার জন্য আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের দাবী উত্থাপন করা হয়। সনাক সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, প্লাস্টিক মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপাদিত হয়। উন্নত এবং উন্নয়নশীল উভয় দেশেই বিভিন্ন পরিবেশে ছড়িয়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্যরে বিশৃঙ্খল দৃশ্য এখন এক সাধারণ বাস্তবতা হয়ে উঠেছে। প্লাস্টিক অপচনশীল হওয়ার কারণে শত শত বছর ধরে পরিবেশে টিকে থাকে। প্লাস্টিক ভেঙে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণায় পরিণত হলে তাকে মাইক্রো প্লাস্টিক বলা হয়, যা খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে বিভিন্নস্তরের জীবের খাদ্যচক্রে মিশে যাচ্ছে এবং এমনকি অ্যান্টার্কটিকার তুষারেও পাওয়া গেছে। প্রতি বছর সারা বশ্বিব্যাপী প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সাগর ও নদীতে প্রবেশ করছে। তাই দেশব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ রোধ করা সম্ভব না হলে বাংলাদেশের নদী, খাল, নগর ও গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা তীব্রতর হবে যা মানবজাতির অস্থিতের জন্য ভূমকি সরুপ। তিনি সকলকে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশ সরকারের জন্য টিআইবি’র ১৪ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টকি উৎপাদনে ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার ৫০% হ্রাস করার, ২০২৬ সালের মধ্যে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টেিকর ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে অন্তত ৯০ শতাংশে নামিয়ে আনার, ২০২৫ সালের মধ্যে প্লাস্টকি র্বজ্যরে ৫০% পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ নিশ্চিত করার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৮০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করার ও ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক প্লাস্টকি বর্জ্য উৎপাদন ৩০% হ্রাস করার দাবীও উত্থাপন করা হয়। মানববন্ধনে টিআইবি’র ধারণা পত্র বিলি করা হয়।