পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ (১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার) উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কর্তৃক আয়োজিত বর্ষবরণ র্যালি ও স্টল প্রদর্শনীতে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগ গৌরবময় সাফল্য অর্জন করেছে। ২২টি বিভাগের মধ্যে এমআইএস বিভাগ র্যালিতে প্রথম স্থান এবং স্টল সাজসজ্জায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।
উক্ত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকত আলী, সকল অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মাননীয় উপাচার্য অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এ ধরনের আয়োজন আমাদের সংস্কৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরে এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও দলগত চেতনা বৃদ্ধি করে। এমআইএস বিভাগের এ সফলতা প্রশংসার দাবিদার। তাদের এই অর্জন ভবিষ্যতের পথকে আরও সুগম করবে।”_
রাকিবুল ইসলাম ভূঁইয়ান( প্রভাষক এম আই এস বিভাগ) বলেন” বর্ষবরণ ১৪৩২ উপলক্ষে এম আই এস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস) বিভাগের সাফল্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এবারের শোভাযাত্রায় এম আই এস বিভাগ প্রথম স্থান অর্জন করেছে, আর স্টল সাজসজ্জায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে ২২টি বিভাগের মধ্যে। এটি শুধুমাত্র আমাদের বিভাগের ঐক্য, প্রচেষ্টা এবং অধ্যবসায়ের ফলাফল, বরং এম আই এস বিভাগের প্রতিভা, কল্পনাশক্তি এবং সাংগঠনিক দক্ষতারও প্রমাণ। আমি শিক্ষক এবং গবেষক হিসেবে এই বছরের প্রোগ্রামে সফলতার জন্য অনুপ্রাণিত ও গর্বিত। আমার জন্য এটি একটি বিশাল অর্জন, কারণ এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমি নতুন কিছু শিখতে পেরেছি এবং আমার কাজের মূল্যায়ন পেয়েছি। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই কমিটির আহ্বায়ক এবং সদস্যদের, এবং আমাদের এম আই এস হাব এসোসিয়েশন এর সকল সদস্যদের যারা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন এই সাফল্য অর্জনে। তাদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং সমন্বিত কাজের ফলস্বরূপ আমরা এই অসাধারণ অর্জন পেয়েছি। এছাড়া, আমাদের শিক্ষার্থীদের যে উদ্যম এবং আত্মবিশ্বাস ছিল, তা শোভাযাত্রা এবং স্টল সাজসজ্জায় দৃশ্যমান। বর-বউ সেজে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তারা উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।
এই সাফল্য শুধু আমাদের বিভাগের জন্য নয়, বরং পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে যে আমরা একে অপরকে সমর্থন এবং সহযোগিতা দিয়ে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারি। এই অর্জন আমাদের সামনে আরও বড় লক্ষ্য অর্জনের অনুপ্রেরণা জোগাবে। ভবিষ্যতে, আমরা আমাদের বিভাগকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং নতুন নতুন সফলতার জন্য কাজ করব।
খাদিজা শারমিন (প্রভাষক, এমআইএস বিভাগ) বলেন “আমরা এমআইএস বিভাগকে শুধু একটি একাডেমিক ইউনিট নয়, বরং একটি পরিবার হিসেবে দেখি। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সবাই একে অপরের সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। প্রতিটি আয়োজন, প্রতিটি কর্মসূচিতে আমরা সবাই একসাথে কাজ করি—নিজের দায়িত্ব নয়, নিজের ভালবাসা থেকে। বিভাগের শিক্ষক হিসেবে আমরা সর্বদা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকি—পরামর্শ থেকে শুরু করে অনুপ্রেরণা প্রদান পর্যন্ত। আমরা চেষ্টা করি তাদের পথপ্রদর্শক হতে, যেন তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যায় এবং এবারের মতো ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখতে পারে।