পঞ্চগড়ের বোদায় বড়শশী ইউনিয়নের মাদরাসার ১০ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বড়শশী ইউনিয়নের আমিরিয়া একরামিয়া নুরানী ও হাফেজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিং এর শিক্ষক মাহবুব আলম এর বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ করে ঘটনার স্বীকার শিশু ও তার পরিবারের লোকজন। বলাৎকারের স্বীকার শিশুটি উপজেলার নাওতারী সুয়েরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার (২০ জুন) ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, আমার ১০ বছরের শিশুকে হাজীপাড়া গ্রামের আমিরিয়া একরামিয়া নুরানী ও হাফেজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিং হাফেজী পড়ানোর উদ্দেশ্যে মাদরাসার প্রেরণ করি। সেখানে প্রায় ১ বছর যাবত পড়াশুনা করে আসছিল। ঘটনার দিন ২ জুন গভীর রাতে মাদ্রাসার শিক্ষক মাহাবুব আলম আমার ছেলেকে তার রুমে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। ঘটনাটি আমাকে ভয়ের কারণে বিষয়টি জানাননি। উল্টো তাকে কাউকে না বলার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। আমার ছেলে কোরবানীর ছুটিতে আমার নিজ বাড়ী বড়শশী ইউনিয়নের নাওতারী সুয়েরপাড়া আসে। ছুটি শেসে তাকে মাদরাসার যাওয়ার জন্য জোর করলে সে কান্নাকাটি করে এক পর্যায়ে মাদরাসার যাবে না বলে জানায়। পরে বলাৎকার ও নির্যাতনের বিষয়টি খুলে বলে। বিষয়টি আমি মাদরাসার সভাপতি ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত কোনরুপ ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। আমি সঠিক বিচার না পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এ বিষয়ে শিশু শিক্ষাথী জানায়, আমাকে জোরপূর্বক মাহবুব আলম হুজুর তার রুমে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করে। পরে আমার শরীর অসুস্থ্য হলে আমাকে ব্যাথানাশক ঔষধ খাওয়ায়। আমাকে বিষয়টি না জানানোর জন্য হুমকি ধামকি দেয়। আমি ভয়ের কারণে একতদিন কাউকে জানাইনি। তবে আমার বাবা ও মাকে গতকাল বিষয়টি জানাই।
এ বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি বলেন, আমি শিক্ষার্থীকে বলাৎকারে বিষয়টি জানতে পেরেছি, তবে অভিযুক্ত মাহাবুব আলম বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ঘটনাটি সঠিক হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয়ে মাদরাসায় গিয়ে কোন শিক্ষককে পাওয়া যায় নি। অভিযুক্ত শিক্ষককে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় নি।