ভালোবাসা কেবল মানুষের মনেই নয়, প্রকৃতির বুকে ও জেগে ওঠে। তারই মিষ্টি সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৯ এপ্রিল ২০২৫ মঙ্গলবার বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের মিরপুর ও সাহাপুর গ্রামের মাঠভরা সাদা ফুলকপি — অসময়ের অথচ অপরূপ সুন্দর!
ঋতুচক্রের বাঁধাধরা নিয়ম ভেঙে, শীতের অপেক্ষা না করেই এই কৃষকেরা নিঃশব্দে রচনা করেছেন এক প্রেমের গল্প। নতুন প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনী কৌশলের ছোঁয়ায় তাঁরা অসময়ে ফুটিয়েছেন তাজা সাদা ফুলকপি, যেন মাটির গভীর থেকে ফোটানো ভালোবাসার ফুল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর বৈরি আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে, তাঁদের অক্লান্ত শ্রম আর মাটির প্রতি মমতার মিশ্রণে আজ কাগইলের মাঠ জ্বলজ্বল করছে সাদা শুভ্রতার মাধুর্যে।
স্থানীয় চাষিরা জানান, বিশেষ জাতের চারা বাছাই, সময়মতো পানি ও সার ব্যবস্থাপনা এবং নিখুঁত যত্নের মধ্য দিয়ে তাঁরা এই সাফল্য ছিনিয়ে এনেছেন। এখন থেকেই বাজারে সরবরাহ শুরু হয়েছে এই অসময়ের ফুলকপি, যা পাচ্ছে চাহিদামতো ভালো দামও। “মাঠে যখন প্রথম ফুলকপির কুঁড়ি ফুটল, মনে হলো যেন প্রিয় কারও মিষ্টি হাসি ঝিলমিল করে উঠল।” তাঁর কণ্ঠে ছিল গর্বের আভাস, চোখেমুখে খেলা করছিল তৃপ্তির উজ্জ্বলতা। অসময়ে এই সফল চাষ কেবল কৃষকদের মুখে হাসি ফোটায়নি, বরং কাগইল ইউনিয়নের অর্থনীতিতে এনেছে এক নতুন গতি ও সম্ভাবনার বার্তা।
প্রকৃতির প্রেমময় রূপ আর মানুষের শ্রমের অপরূপ সংলাপে আজ কাগইলের মাঠ হয়ে উঠেছে যেন এক ভালোবাসার বিশুদ্ধ কাব্য — যেখানে প্রতিটি ফুলকপির হাসিতে জেগে ওঠে ভোরের শিশিরে ভেজা সোনালি স্বপ্ন।