ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকতা ডাক্তার আরিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে স্টাফ ও রোগীদের সাথে বেসামাল আচরণ, দোকানে চা সিগারেটের টাকা বাকী রাখা, অফিসকক্ষে ছুরি ও পিস্তল দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোসহ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ পাহারায় ওই কর্মকর্তাকে ভোলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে প্রেরন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শি ও সেবা নিতে আসা রোগী আনোয়ারা, কামালউদ্দিন, হেলালউদ্দিন জানান, টিএইচও ডাক্তার আরিফুল ইসলাম প্রায় সময় রোগী ও স্টাফদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করেন। এর আগে চা সিগারেটের বাকী টাকা নিয়ে উত্তেজনা করে ফুলবাগানের বাউন্ডারি ভেঙ্গে ফেলেন এবং দুই ঘন্টা সেবা বন্ধ রাখেন।
হাসপাতালে কর্মরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার কামরুজ্জামান কিছু সময় টিকিট বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, স্যারের আচরণে আমরা বিব্রত। যার তার সাথে অশালীন আচরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা বিব্রত বোধ করি। ইতোমধ্যে ভোলা সিভিল সার্জন তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
অভিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকতা ডাক্তার আরিফুল ইসলামের কাছে অফিস কক্ষে ছুরি ও পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বেসামাল আচরণ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ফল কাটার জন্য অফিসে ছুরি এনেছিলাম।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক বলেন, হাসপাতালের গেটে ও বাহিরে উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভ করে। এই ঘটনায় হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকালে কিছু সময়ের জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ আমরা হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।পরে সন্ধ্যায় তাকে ভোলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রেরন করা হয়েছে।
ভোলা সিভিল সার্জন ডাক্তার শফিকুল ইসলাম এর কাছে এসব বিষয়ে জানতে বার বার তার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।