নরসিংদীর মনোহরদীতে জমি সংক্রান্ত জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ০২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মনোহরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান অভিযোগকারী কাউছার। অভিযোগে বলা হয়েছে বাদী কাউছার(২৮)পিতা:-আবেদ আলী উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের হাবিজপুর উত্তরপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী।বিবাদী ১/ সবুজ মিয়া(৩২) ২/আলামিন(৩০) উভয় পিতা মৃত আবুল হোসেন ৩/জসিম উদ্দীন(৫৪)পিতা মৃত আছমত আলী ৪/হ্যাপী আক্তার(২২)স্বামী-আলামিন ৫/শান্তা বেগম(২০)পিতা-ইদ্রীস আলী ৬/হালিমা(৪৪)স্বামী-ইদ্রীস আলী ৭/দুলাল মিয়া(৪৫)পিতা-এবাদুল্লাহ সর্ব সাং হাবিজপুর উত্তরপাড়া,মনোহরদী,নরসিংদী।
আমার সাথে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে কোন্দল চালাইয়া আসিতেছে।তারা জোর পূর্বক আমার ও আমার বাবার পৈত্ত্বিক ভিটা ও জমি দখল করার পায়তারা করে আসিতেছে।এ ব্যাপারে আমরা মনোহরদী উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ করিলে গত বৃহঃবার(১৮ এপ্রিল)আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে জমির সিমানা নির্ধারণ করার জন্য সার্ভেয়ার আসিলে জমির কাগজপত্র যাচাই করে সিমানা নির্ধারণ করতে গেলে বিবাদীরা এই রায় বাঞ্ছাল করার জন্য হট্রগোল শুরু করে।বিবাদীদের চরম হট্রগোলের কারণে সার্ভেয়ার সিমানা নির্ধারণ করতে না পারায় মনোহরদীর পথে রওয়ানা হয়।এ সময় বিবাদীরা আমাদের উপর হামলা চালায় এবং আমাদেরকে গালমন্দ করে।আমরা নিজ বাড়ীর দিকে রওয়ানা হলে বেলা-১২.৪৫ মিনিটের দিকে চেঙ্গাইন কার্পেটিং সড়কের মোড়ে আমাদেরকে চলমান অবস্থায় পাইয়া বিবাদীগণ দা,রড,লাঠি ইত্যাদি দেশীয় মারাত্মক আকৃতির অস্ত্রাদীতে সজ্জিত হইয়া পরস্পর যোগসাজশে দলবদ্ধভাবে তাহাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বে আইনীভাবে আমাদের পথরুদ্ধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।গাল মন্দ না করার জন্য বিবাদীগণকে দোহাই দিলেও তাহারা তা না মানিয়া ৬ নং বিবাদীর হুকুমে আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশে ১ নং বিবাদীর হাতে থাকা দা-লাঠি দিয়া আমার মাথায় আঘাত করিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।আমার ছোট ভাই বাবু মিয়া কে হত্যার উদ্দ্যেশে ২ নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লাঠি দিয়া আমার ভাইয়ের ঘাড়ের ডান অংশে আঘাত করিলে ঘাড়ের হাড় ভেঙ্গে মারাত্মকভাবে জখম হয়। ৪ নং বিবাদী আমার ভাইয়ের ডান হাতের কব্জিতে কামড় দিলে রক্তাক্ত জখম হয়।
অন্যান্য বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লাঠি,রড দ্বারা আমার বোন লালসাসহ আমাদেরকে উপর্যুপরি আঘাত করিয়া নীলা-ফুঁলা জখম করে।আমার বোনের হাতে থাকা ২.০০০০০(দুই লক্ষ) টাকা মূল্যের I Phone 15 pro নামের মোবাইল সেটটি ভেঙ্গে ফেলে এবং ৭ নং বিবাদী আমার বোনের মাথার চুলে ও জামা কাপড় ধরিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়,৪ নং বিবাদী আমার বোনের গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়,যাহার বর্তমান মূল্য প্রায়- ৬০.০০০টাকা।আমাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে নীলা-ফুঁলা জখম অবস্থায় উদ্ধার করে।বিবাদীদের ঘটনা দেখিতে ও শুনিতে থাকা অবস্থায় ১ নং বিবাদী প্রকাশ্যে হুমকী দেয় যে এ বিষয়ে থানায় বা কোর্টে মামলা করিলে সময় বা সুযোগে আমার বাড়ী-ঘরের বড় ধরণের ক্ষতি করিবে।আমাকে সহ আমার বাড়ীর সবাইকে খুন করে ফেলবে।আমি ও আমার ভাই বাবু আশংকাজনক অবস্থায় মনোহরদী উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি।যে কোন মূহুর্তে বিবাদীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে প্রাণনাশ বা বাড়ী-ঘরের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে।যে কারণে আমাদের জান-মাল রক্ষার্থে মনোহরদী থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।এমতাবস্থায় আমি মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে মনোহরদী থানার ওসি মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। এদিকে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আবুল কাশেম ভূঁইয়া মহোদয়ের কাছে অভিযোগ ব্যাপারে জানতে চাইলে,তিনি জানান আমি একটি মামলার স্বাক্ষী দিতে চট্রগ্রামে অবস্থান করছি। তাই এই অভিযোগ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।