লালমনিরহাট ০১আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবার ভোট যুদ্ধে নেমেছেন সাবেক সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান, তিনি নির্বাচনী ভাষন দেবার কালে নৌকার মনোনিত প্রার্থী মোতাহার হোসেন সম্পর্কে এই বক্তব্য দেন।
লালমনিরহাট ০১ সংসদীয় আসনে নির্বাচন জমে উঠেছে।আওয়ামিলীগ মনোনিত নৌকা মার্কা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার ভোট যুদ্ধ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা পুণ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।টানা চতুর্থ বারের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন তার নির্বাচনী এলাকায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন,দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ভাবে শক্ত প্রতিপক্ষ আতাউর রহমান প্রধানের মুখো মুখি হতে হচ্ছে।
সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান লালমনিরহাট ০১ আসনের নৌকার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলে,মোতাহার হোসেন এমপির সমর্থকরা পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলায় তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নানা প্রতিবন্ধকতা ও অপপ্রচার ছড়ান,ঈগল মার্কার সমর্থকরা এই অভিযোগ করেন।আতাউর আওয়ামিলীগের কেউ নন মোতাহার হোসেনের এপিএস এই দাবী করে বক্তব্য দেন,ঘটনার দুদিন পরেই কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগের অর্থ উপকমিটির সদস্য হয়ে রাজনৈতিক ভাবে তার জবাব দেন আতাউর রহমান।দলগত ভাবে মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়ন জমা দেন।আতাউর রহমান প্রধানের মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে বাতিল হলে,উচ্চ আদালতের নির্দেশে ফিরত পান এবং ঈগল মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের ময়দানে রয়েছেন।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা পুণ্য লালমনিরহাট ১আসনে কর্মী সমর্থকদের মাঝে মাঠ দখলের লড়াই অব্যাহত রয়েছে,গত ২১ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা প্রচার অভিযানে গেলে গড্ডিমারী ইউনিয়নে নৌকার সমর্থক কতৃক বাঁধার মুখে পড়েন,ঈগল মার্কার সমর্থকদের গাড়ী ও অফিস ভাংচুরের অভিযোগে নৌকার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট, আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী।অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা নির্বাচন কমিশন মোতাহার হোসেনের এপিএস শ্যামল কে তলব করে।
লালমনিরহাট ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান,শনিবার পাটগ্রাম হাশর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী বক্তৃতায় নৌকার প্রার্থীর সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন,চার বারের এমপি থাকাকালীন মোতাহার হোসেন তার ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছেন,নিজের দুগ্ধ পুত্র কে ছাত্রলীগ,যুবলীগ না করলেও উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক পদে বসান, অল্প বয়সে ক্ষমতা পেয়ে মুখের লাগাম ছিঁড়ে গেছে, তাই যা মুখে আসে তাই বলে,এপিএস শ্যামল সম্পর্কে বলেন, তিনি এমপির বদৌলতে অনেক পদ পদবীতে আছেন ক্ষমতাবান মানুষ, তাই আমার মনোনয়ন ফেরত পাওয়ায় এপিএস শ্যামল হাইকোর্টের বিচারপতি প্রসঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন,আমি অর্থের বিনিময়ে আমার পক্ষে রায় নিয়েছি,আদালত অবমাননার জবাব তারা দুদিন পরে পাবে,তাদের বিরুদ্ধে আদালতের নোটিশ আসবে এটি নিশ্চিত থাকেন।
আতাউর রহমান আরো বলেন, চার বারের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন সন্মানিত ব্যাক্তি,কিন্তু তার সন্মান তার কুলাঙ্গার এপিএস শ্যামল এবং পুত্র নষ্ট করছে,তারা যে ভাষায় কথা বলে সেটি কোন ভদ্র লোকের ভাষা নয়।তার পুত্রের রয়েছে ভারতীয় চোরাই গরু ও মাদকদ্রব্য ব্যবসা।
লালমনিরহাট ১আসনের সাধারন ভোটাররা জানায়,মোতাহার হোসেন এই আসনের দীর্ঘদিনের সংসদ সদস্য ,তাকে মানুষ পছন্দ করলেও তার এপিএস কে কেউ পচ্ছন্দ করে না। এপিএস শ্যামলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে,ক্ষমতার অপব্যাবহার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করা, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ভুক্তি করার নামে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে থেকে অর্থ নিয়ে কাজ না করা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্য করা,এসব কারনে সাধারন ভোটার এবার ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিবে,স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার দিকে ঝোঁক বেশী রয়েছে,অঘটন ঘটলে আশ্চর্য হবার কিছু থাকবে।