মাদারীপুরের রাজৈরের কদমবাড়ি এলাকায় গণেশ পাগলের কুম্ভ মেলার একটি জুয়ার আখড়ায় সাদা পোশাকে যান দুই পুলিশ কনস্টেবল, পুলিশের উপস্থিতি দেখে সেখানে থাকা জুয়ারিরা পুলিশ সদস্যদের মারধর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় ৩০ রাউন্ড গুলি।
পরদিন শুক্রবার ৩০ মে দুপুরে মেলার মাঠে পরিত্যক্ত অবস্থায় গুলিগুলো পাওয়া যায়।
নিজেদের জানমালের নিরাপত্তায় ব্যর্থ হওয়ার কারণে, মেহেদি হাসান এবং জুবায়ের হাসান নামে দুই পুলিশ কনস্টেবল কে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা মাদারীপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন,
একাধিক সূত্রে জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সাদা পোশাকে মেলার মাঠের জুয়ার আসরে যান কনস্টেবল মেহেদি হাসান এবং জুবায়ের হাসান। বিষয়টি টের পেলে জুয়াড়িদের সাথে পুলিশের মারামারির হয়।
পরে জুয়াড়িরা পুলিশ সদস্য মেহেদি হাসানের সঙ্গে থাকা শর্টগানের ৩০ রাউন্ড গুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে শুক্রবার পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় গুলিগুলো।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার ২৮ মে সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজৈর উপজেলার কদমবাড়িতে শুরু হয় প্রায় ১২৫ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী গনেশ পাগলের কুম্ভ মেলা। প্রতিবছর কু্ুম্ভ মেলায় একটি অসাধু চক্র জুয়ার আসর ও মাদকের আড্ডাখানায় পরিণত করেন। এটি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যায় না। যদিও বিষয়টি নিয়ে দায় এড়িয়ে যায় মেলার কমিটির সদস্যরা।
এ ব্যাপারে কদমবাড়ি গণেশ পাগল সেবাশ্রমের সভাপতি মিরণ বিশ্বাস বলেন, জুয়া আর মাদকের ব্যাপারে কমিটি কিছু জানে না। এটি কমিটির অগোচরে হতে থাকে।
বৃহস্পতিবার ভোরের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। খোয়া যাওয়া ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হলেও এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে, বলে জানান মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।