1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৫ টি ভারতীয় মোবাইলসহ একজন আটক কয়রায় ইসলামী শিক্ষার আলোকবর্তিকা: রহিমিয়া জামে মসজিদ, মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানার শুভ উদ্বোধন দলে অনুপ্রবেশ ও ফ্যাসিষ্ঠ ঠেকাতে কচাকাটায় বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা মোঃআবুসাঈদ ইসলাম জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অর্থ আত্মসাতের মামলায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা আবার গ্রেপ্তার নিয়ামতপুরে উপজেলা মাসিক ও আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত চীনের দেয়া ১০০০ শয্যা হাসপাতাল নীলফামারী দারোয়ানি মাঠে হওয়ার যৌক্তিক দাবি ড. খায়রুল আনামের বানারীপাড়ায় বস্তার নিচে চাপা পড়ে আড়াই বছরের শিশু আল মাহমুদের মর্মান্তিক মৃত্যু গলাচিপা-চিকনিকান্দি সড়কের বেহাল দশা টাংগাইলের নাগরপুরে বালু মহলে অভিযান আটক ১ পোপ ফ্রান্সিস এর মৃত্যু

মির্জাপুরে শিশু ধ’র্ষণের মূল্য দেড় লাখ টাকা

শাকিল সিকদার জহিরুল
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

‎ধ’র্ষনের মতো অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে ধ’র্ষকরা।অধিকাংশ ঘটনাই ধামাচাপা পরে যাচ্ছে কোন না কোন কারনে।কারনগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে,স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের হস্তক্ষেপ,ধ’র্ষক প্রভাবশালী হওয়ায়,রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ,ভুক্তভোগীর দারিদ্রতা সহ নানান কারন।তাই আবারো শিশু ধ’র্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিন্ত স্থানীয়রা অর্থের বিনিময়ে তা ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছে। তার মানে ধ’র্ষণ করলে কোন সমস্যা নেই,যদি ক্ষমতা ও টাকা থাকে। ‎ ‎এই ধরনের ন্যাক্যারজনক ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া এলাকায়।ভুক্তভোগী শিশু ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।তার বয়স কেবল মাত্র ১০ বছর।শিশুটি কেবলই দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়েন।এরই মধ্যে ওই শিশুর উপর নজর পড়েছিল ওই এলাকার নওসের মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়ার (৪৫)।ফিরোজ মিয়া পেশায় একজন সিএনজি চালক।ধ’র্ষণ করার পর থেকেই সে এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরাফেরা করছে।সে মনেই করছেনা ধ’র্ষণ একটি মারাত্মক অপরাধ। ‎ ‎স্থানীয় ও ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা জানান,ঘটনাটি ঘটেছে আজ থেকে প্রায় ২০-২২ দিন আগে।ঘটনাটি সত্য।ঘটনাটি ঘটার পর এলাকায় জানাজানি হওয়ার আগেই স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।পরে স্থানীয় মাতাব্বররা ঘরোয়াভাবে বসে বিচার করেন।বিচারে রায় হয় এক লাখ পঞাশ হাজার টাকা ও কয়টা জুতার বাড়ি। শিশুটির মা জানান,দেড় লাখ টাকা জরিমানা করলেও আমি পেয়েছি মাত্র ৯২ হাজার টাকা।বাকী টাকা নাকি পরে দিবে বলেছে তারা।স্থানীয় সচেতনমহলের ব্যাক্তিরা জানান,ধ’র্ষণ করার পর তার শাস্তি দেড় লাখ টাকা হতে পারে না,এটা অন্যায়,তাও আবার বাকী।বিষয়টা হাস্যকর,হলেও সত্য। ‎ ‎স্থানীয়রা জানান,ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সহযোগিতা করেছেন ও ধ’র্ষণের বিচার করেছেন ভুক্তভোগী শিশুটির প্রতিবেশী নুরইসলাম,বিএনপির নামধারী নেতা ইউনুস আলী, আলম হোসেন, খোরশেদ আলম, আব্দুল মালেক মিয়া সহ প্রমূখ। ‎ ‎বিএনপির এক নামধারী নেতা বলেন,এটা এত বড় কোন বিষয় না যে এত বাড়াবাড়ি করতে হবে।তাই আপনারাও (সাংবাদিক) এটা নিয়ে আর বেশি বাড়াবাড়ি কইরেননা। ‎ ‎ভুক্তভোগী ওই শিশুটির মা আরো জানান,আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় আমি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছি।স্থানীয়রা বিষয়টি সুষ্ঠু একটি মীমাংসা করে দেবেন এমন আশ্বাসের কারনে কোথাও অভিযোগ করিনি।ঘটনার দীর্ঘদিন পর বিচার করে অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তিকে জুতার বাড়ি ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন।পরে আমাকে মাত্র ৯২ হাজার টাকা দেয় এবং বাকী টাকা পরে দেবে বলে আশ্বস্ত করেন। ‎ ‎স্থানীয়রা আরো বলেন, অভিযুক্ত ধ’র্ষক সহ যারা তাকে বাচানোর জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এইজন্য উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ‎ ‎স্থানীয় ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন জানান,ঘটনাটি আমি পরস্পর শুনেছি।পরে শুনলাম ওরা নিজেরাই আপোষ মীমাংসা করেছে। ‎ ‎মির্জাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন বলেন,এ বিষয়ে আমার জানা নেই।অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চান্ঞল্য সৃষ্টি হয়েছে। সকলের একটাই দাবী ধর্ষকের শাস্তি হবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাতে করে এমন ঘটনা আর না ঘটে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com