মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা,নদীতে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী স্যুটার মান্নান নিহত হয়েছে। লালু-জুয়েল গ্রুপের লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি নিহতের স্বজনদের।গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের বড় কালীপুরা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।নিহত স্যুটার মান্নান (৪৫),গজারিয়া উপজেলার ইমামুপর ইউনিয়নের জৈষ্ঠিতলা নূর মোহাম্মদের ছেলে।এছাড়াও হৃদয় বাঘ (২৮) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েজনের সাথে কথা বলে জানা যায় মেঘনা নদীর বড় কালীপুরা এলাকায় একটি স্পিডবোটকে দেখতে পান তারা। স্পিডবোটে ৭ জন যুবক সশস্ত্র অবস্থায় নদীতে পাহাড়া দিচ্ছিলো। এই ঘটনার কিছু সময় পরে স্যুটার মান্নান, হৃদয় বাঘ-সহ ৭জন ইঞ্জিন চালিত একটা ট্রলার নিয়ে নদীতে নামলে অন্য একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে থাকা ১৫/১৬জন পেছন থেকে তাদের ধাওয়া দেয়। তাদের সবার হাতে অস্ত্র, মাথায় হেলমেট, গায়ে জ্যাকেট ছিল। এই ঘটনার কিছু সময় পরে ২০/২৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণের শব্দ শুনতে পান তারা। এরও কিছুক্ষণ পর গুলিবিদ্ধ মান্নানের মরদেহ ট্রলারের উপর পড়ে থাকে। আহতরা ট্রলার থেকে লাফিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এসময় হামলাকারীরা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চাঁদপুরের দিকে চলে যায়’।বিষয়টি সম্পর্কের নিহত মান্নানের স্ত্রী সুমি বেগম বলেন, ‘ গত কয়েকদিন আগে মান্নান আমাকে বলেছিলো হোগলাকান্দির গ্রামের লালু,জুয়েল তাকে মেরে ফেলতে চায়। তারা তাকে হত্যা করতে পেশাদার অস্ত্রবাজ ভাড়া করেছে। আজ সকালে আমরা খবর পেলাম মান্নানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি সিউর লালু, জুয়েল আর তারা তাদের ভাড়াটে খুনিরা তাকে হত্যা করেছে। এদিকে ঘটনাস্থলে এসে গজারিয়া গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ নিহতের বুকে দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে । অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে তারা ঘটনাস্থলে আসছে’।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘ মান্নান গজারিয়া উপজেলার একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। অস্ত্র চালনায় বিশেষ পারদর্শী হওয়ার কারণে সে স্থানীয়দের কাছে স্যুটার মান্নান নামে পরিচিত। তার নামে গজারিয়া থানা সহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।