যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের একটি বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পিসহ তিনজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। পরে তার ঢাকার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি।
রোববার (২৯ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক বাপ্পির পুরো নাম মোহাম্মদ আলী ওরফে ফিরোজ আলম ওরফে আহসানুল হক। তার সহযোগী হিসেবে আটক করা হয়েছে আবু খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে ‘বোমা রিপন’ এবং কামরুল হাসানকে।
আটকের সময় তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ মোট ১৫১ রাউন্ড গুলি।
এরপর বাপ্পির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার ডেমরা থানার বাদশা মিয়া রোডের একটি বহুতল ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। ফ্ল্যাটের ব্যক্তিগত রুমে তালা ভেঙে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় আরও দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ ১৪৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি।
মাদক মামলায় বাপ্পির নাম উঠে আসে
ডিবি পুলিশের লালবাগ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ জুন রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকা থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করে ডিবি। তার তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রাইভেটকার থামানোর চেষ্টা করলে গাড়িতে থাকা মাদক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তিন সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে ৯ হাজার পিস ইয়াবা, তিনজন মাদক কারবারি ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে, এই গুলিবর্ষণ ও মাদক কারবারের মূল হোতা বাপ্পি।
সাঁড়াশি অভিযান চালায় ডিবি
ঘটনার পরপরই রাজধানী ঢাকাসহ বরিশাল, সাতক্ষীরা এবং যশোর জেলাজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে ডিবি। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে নজরুল ইসলামের দোতলা বাড়ি ঘিরে ফেলে ডিবি। সেখান থেকেই বাপ্পি, ‘বোমা রিপন’ ও কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।
আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
আটক তিনজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে ডিবি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।