1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পলাশবাড়ীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সরিষাবাড়ীতে প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিলেন শিক্ষার্থীকে আটক ১ নিয়ামতপুরে নাশকতার মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তওফিক চৌধুরী গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, প্রশ্নের মুখে বিএনপি নেতা ফোরকান মাস্টার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ রূপগঞ্জে রবিন ট্যাক্স গ্রুপে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও রাস্তা অবরোধ হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার ডোমারে নদী ভাঙ্গনে ভেঙ্গে গিয়েছে রাস্তা, বিশ হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে চিরিরবন্দরে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

যশোার সরকারি মুরগি খামারে বার্ডফ্লু শনাক্ত হওয়ায় জেলায় সর্বত্র সতর্কতা

যশোর জেলা প্রতিনিধি মোঃ জুম্মান হোসেনঃ
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

যশোরের চতুর্থ বারের মতন সরকারি মুরগি ও উন্নয়ন খামারে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু শনাক্ত হওয়ায় দেশের সব হাঁস মুরগি ও প্রজনন ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোকে কঠোর সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বেসরকারি খামারগুলোকেও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। দেয়া হয়েছে বিশেষ দিক নির্দেশনাও। তবে বার বার কেনো আক্রান্ত হচ্ছে তা তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

যশোর প্রজনন খামরাকে আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সেখানে মুরগি পালন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবানু ধ্বংস করা মেডিসিন প্রয়োগ করে জীবানু মুক্ত ও জীব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া কোনোভাবেই যাতে সংক্রমিত হতে না পারে সে পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানের উপ পরিচালক কৃষিবিদ বখতিয়ার হোসেন জানিয়েছেন, যশোর খামারে সহসা আর মুরগি উৎপাদন করা সম্ভব হবে না।
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে তথ্য মিলেছে, গত ১২ মার্চ খামারে একবারে অনেকগুলো মুরগি মারা যাওয়ায় নমুনা ঢাকার ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ হলে ১৩ মার্চ খামারের ৬টি শেডের দুই সহস্রাধিক মুরগি মেরে পুতে ফেলা হয়। একই সাথে শেড খালি করে পরিস্কার ও জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করা হয়েছে। আতংকিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণি সম্পদ বিভাগ। গত ১৩ মার্চ ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর খামারের ৬টি শেডের দুই হাজার ৭৮টি মুরগি মেরে পুতে ফেলা হয়েছে।
যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার থেকে তথ্য মিলেছে, বর্তমানে খামারে কোন মুরগি নেই। শেডগুলো খালি করে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করা হয়েছে। খামারিদের আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সরকারি খামারের বাইরে ময়লা ফেলার জায়গা আছে। এছাড়া খামারে পাখির আনাগোনা থাকে। এসব মাধ্যমে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়াতে পারে।
এদিকে ঢাকাতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবু সুফিয়ান মিডিয়াকে জানান, গত ১২ মার্চ যশোরের সরকারি খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার জন্য দেশের বাইরেও পাঠানো হবে। তাৎক্ষনিকভাবে ওই খামারকে বিশেষ নির্দেশনার আওতায় আনা হয়েছে। সব খামারিদের সংগঠনকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যাতে তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, ভ্যাকসিন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিশ্চিত করেন। সংক্রমন যাতে কোনো রকমে আর না বাড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। সরকারি সব খামারও সতর্ক অবস্থানে রাখা হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি খামারগুলোকেও দিক দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।
এদিকে প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয় সূত্র থেকে তথ্য মিলেছে, যশোরের শংকরপুরে অবস্থিত সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে এবার দিয়ে ৪ বার বার্ডফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ বার্ড ফ্লুর ভাইরাস ‘এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ’তে আক্রান্ত হয়ে খামারের ৩/৪টি মুরগি মারা যায়। এর দু’দিন পর একটি টিন সেডের আরও ৩শ’৯৩টি মুরগি আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ওই সময় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মুরগি আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার বিষয়টি অধিদপ্তরের উপরমহলসহ যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে খামারের মুরগি, ডিম, খাবার ও ভিটামিন পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া অধিকতর পরীক্ষার জন্য কয়েকটি মরা মুরগির নমুনা (স্যাম্পল) মহাখালিস্থ সেন্ট্রাল ডিজিজ ইনভেস্টিগেশন ল্যাবে পাঠানো হয়।এরপর ওই বছরের ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আর পরদিন ২৭ মার্চ রাতে বিভাগীয় ডাক্তার মেহেদি হাসান, ডাক্তার সমর ঘোষ এবং জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের তত্ত্বাবধানে খামারে থাকা ৬ হাজার ৮৬৮ টি মুরগি, ১৮শ’ ৮২টি মুরগির ডিম, ১৩ শ’ কেজি মুরগির খাবার এবং ১৯ কেজি ভিটামিন ধ্বংস করা হয়। ওই সময় প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর থেকে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত টিম বার্ডফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার কয়েকটি কারণ নিরূপন করে। একইসাথে ওই সময় খামারে কর্মরত ছয় জন স্টাফকে অন্যত্র শাস্তিমূলক বদলিও করা হয়। সরকারের প্রায় কোটি টাকার মুরগি ধ্বংস ও সরকারের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণে ওই খামারকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ছয় মাস পর্যন্ত সেখানে মুরগি পালন বন্ধ রেখে পরিস্কার পরিছন্নতার কাজ, জীবানু ধ্বংস করা মেডিসিন প্রয়োগ করে জীবানু মুক্ত ও জীব নিরাপত্তা নিশ্চত হয়।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com