বরিশালের হিজলা উপজেলায় বড়জালিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জনাব,ঝন্টু বেপারী ও তার একদল সন্ত্রাসী গ্রুপ ঈগল মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে এবং যুবলীগ নেতা ওহিদ সরদারকে এলোপাথাড়ি মারধর করে বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং দাঁত ভেঙে ফেলে।
ওহিদ সরদারের চিৎকারের শব্দ শুনে আশেপাশের লোক ছুটে আসলে তাৎক্ষণিক তারা পালিয়ে যায় যাওয়ার সময় বলে ঈগল মার্কার কোন নির্বাচনী কার্যক্রম হিজলা উপজেলায় চলতে পারবে না হিজলা উপজেলায় শুধু নৌকা মার্কার নির্বাচনী প্রচারণা চলবে।
আর যদি ঈগল মার্কার নির্বাচনী প্রচারণা চলে তাহলে তোদের সবাই কে একটা একটা করে ধরে মেরে ফেলবো দেখব তোদের পঙ্কজনাথ দাদা তোদেরকে কিভাবে বাচায়।
এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে আসেন এবং ওহিদ সরদারকে সাময়িক জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাক্তার জানান ওহিদ সরদারের অবস্থা তেমন একটা ভালো নয় মাথায় বড় ধরনের জখম হয়েছে এবং দাঁত ভেঙে গিয়েছে তাই ওনাকে এখানে রাখা যাবেনা উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে আর আমাদের হাসপাতালে ভালোমানের মেশিনারি ও যন্ত্রপাতি নেই তাই ওনাকে বরিশাল নিয়ে যান তা না হলে ওনার ব্রেন্টের সমস্যা হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন আমরা খুব দ্রুত এই নেককারজনক সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই না হলে সাধারণ জনগণ আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে আর যদি সাধারণ জনগণ ভোট দিতে না আসে তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি জামাত বদনাম ছড়াবে বহিরাগত রাষ্ট্রগুলোর কাছে তাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে সারা বিশ্বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন ইউপি সদস্য ঝন্টু বেপারী গং একটি আতঙ্ক একটি সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ এদের এই জঘন্য হামলা মোটেও ভালো হয়নি ঈগল মার্কার নির্বাচনী প্রচারণায় ওদের সমস্যা কোথায় পঙ্কজ দেবনাথ এর সমর্থিত কর্মীকে ওরা কার ইশারায় এত বড় হামলা চালায়।
এই ঘটনার বিষয়ে বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব,এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন ইউপি সদস্য ঝন্টু বেপারী একটি সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ ওরা সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরো বলেন ড. শাম্মী আহমেদ দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য মনোনয়ন বাতিল হয়েছে সে যদি আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারে তখন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন মিলে ঠিক করবে কিভাবে নৌকা মার্কাকে নির্বাচিত করা যায় আর আমি হলাম হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কিন্তু ঝন্টু বেপারী আওয়ামী লীগের কে তাকে ঈগল মার্কার নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করতে হবে? কেন সেটা আমার বুঝে আসেনা।
এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে আমরা ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে ছুটে আসি এবং আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করবো।
হিজলা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং খুব দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।