1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নন্দীগ্রামে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত মাধবপুরে ইউনিক বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আহত ৩৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত ময়মনসিংহে সমাজসেবার বাস্তবায়নে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে পাঁচবিবিতে আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন কাউখালীতে কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টা,লম্পট গ্রেফতার এনসিপির জয়পুরহাট জেলা প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ বোরহানউদ্দিনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু নিয়ামতপুরে উপজেলা পর্যায়ে পানি সম্পদ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সভা ধামইরহাটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত।

যৌতুক দিতে না পারায় প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে

Md Rezaul Islam
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে গোকুন্ডা ইউনিয়নের ডারারপাড় মুন্সিটারী গ্রামের গোলাম মোস্তাফার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস কে শ্বশুরালয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ছেলেকে দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন মেয়ের পরিবার।

মেয়ের মা মর্জিনা বেগম সাংবাদিক কে জানান গত দুই বছর আগে ঢাকা সাভারে আমি ও আমার স্বামী চাকুরির সুবাধে ওখানে বসবাস করি।আমাদের মেয়ে জান্নাতুল কে ওখানে একটা স্কুলে ভর্তি করে দেই পড়ালেখা করার জন্য। আমাদের পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ৫ নং মানাবাড়ী ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস সালাম সর্দারের ভাতিজা ও ফুল মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমানও সাভারে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতো। এর সুবাদে আমার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে ঢাকা সাভারে তাদের ঘরোয়া আয়োজন করে বিয়ে দেই। কিছুদিন পরে ঢাকায় চাকুরী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে স্বপরিবারে চলে আসি। এরপর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে জামাতা মিজানুর রহমানের জেষ্ঠা বিদ্যানন্দ ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম সর্দার কয়েকজন কে সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে পাকা কথা বলে বৌভাতের দিন তারিখ ঠিক করে রীতিমতো অনুষ্ঠান করে আমার মেয়ে কে নিয়ে যান। আমার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস তিনদিন শ্বশুরালয়ে থাকার পরে জামাই মিজানুর রহমান সহ আমাদের বাড়িতে আসেন। এরপর জামাই আমার মেয়েকে তার সাথে ঢাকায় তার কর্মস্থলে নিয়ে যান।সেখানে এক মাস ঘর সংসার করার পরে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন আমার জামাতা মিজানুর রহমান। এরই এক পর্যায়ে আমার মেয়েকে হঠাৎ একদিন বাড়ির পাশের রাস্তার নামিয়ে দিয়ে জামাতা মিজানুর রহমান চলে যান। যাওয়ার পর থেকে যৌতুকের জন্য নানা টালবাহানা শুরু করেন। পরে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেন ছেলের জেষ্ঠা ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম সর্দার।

এঘটনার পর থেকে আমরা মেয়ে কে জামাইয়ের বাড়িতে পাঠাতে চাপ তারা নানা ধরনের হুমকি দামকি ও প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে আমার জামাতা মিজানুর রহমান কে অন্যত্র এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সাথে বিয়ে দেন।
প্রতিবেশী চাচা এনামুল হক সাংবাদিক কে জানান, বিয়ের ঘটনায় দুই পরিবারের মাঝে যৌতুকের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে আমরা এলাকাবাসী মিলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেও সালাম সর্দার ক্ষমতা ও দাম্ভিকতার কাছে হেরে যাই।

ঘটনার সত্যতা জানতে বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিক কে জানান, এই ঘটনায় আমি ছেলের জেষ্ঠা আমারই পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম কে বিষয় টি নিয়ে একাধিক বার বসে সমস্যা সামাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই।

এবিষয়ে সালাম সর্দারের কাছে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য তার মুটোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com