৩ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের রাস্তার ধারের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ৫নং বালারহাট ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে এবং এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ১০ জুলাই থেকে শুরু করে গতকাল ১৯ জুলাই পর্যন্ত রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ৫নং বালারহাট ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের চৌপথি হতে কাঠালতলী জামে মসজিদ পর্যন্ত সরকারী রাস্তার দুই ধারে থাকা ৩ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের ১০টি বড় বড় মেহগিনি ও ইউক্যালিপ্টাস গাছ একই গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় বালারহাট হামিদিয়া আলীম মাদ্রাসার সুপার মোঃ তাহেরুল ইসলাম কেটে নিয়েছেন।
অভিযুক্ত শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা বালারহাট হামিদিয়া আলীম মাদ্রাসার সুপার মোঃ তাহেরুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি ওই গাছগুলির মালিকানা দাবী করে বলেন, তার গাছ তিনি কেটে নিয়েছেন। রাস্তার গাছ তার কিভাবে হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছ তার জমিতে এবং তিনি গাছগুলি রোপন করেছিলেন। এর বেশি কিছু বলতে পারবেন না বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে ৫নং বালারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতনের সংগে কথা বললে তিনি বলেন, গাছগুলো রাস্তার তবে তাহেরুল মাওলানা সাহেব গাছগুলো রোপন করেছেন দাবী করে কেটে নিয়েছেন। যা বিধি মোতাবেক হয়নি। আমি তাকে বিধি মোতাবেক গাছ কাটার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি শুনেন নাই। পরে গাছ কাটার খবর পেয়ে গাছ আটক রাখার জন্য দফাদার আকমল, চৌকিদার খায়রুল এবং আনোয়ার মেম্বরকে দায়িত্ব দিয়েছি। এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মিটিং করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দফাদার আকমল হোসেন, চৌকিদার খায়রুল ইসলাম এবং আনোয়ার হোসেন মেম্বরের সাথে কথা বললে তারা বলেন, প্রথমতঃ এলাকাবাসী সুত্রে গাছ কাটার খবর পেয়ে আমরা চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, তখন মাত্র ২টি গাছ কেটেছে। আমরা আর গাছ না কাটতে এবং কাটা গাছ ওইখানেই রাখতে নির্দেশ দিয়ে চলে এসেছি। পরে শুনি তাহেরুল মাওলানা সাহেব আমাদের নির্দেশ অমান্য করে ৩ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের ১০টি বড় বড় মেহগিনি ও ইউক্যালিপ্টাস গাছ কেটে নিয়ে বৈরাতীর ওই দিকে কোথাও বিক্রি করেছেন। যাহা চেয়ারম্যান সাহেবও জানেন। তবে গাছ কাটার ব্যাপারে চেয়ারম্যান সাহেব এবং মাওলানা সাহেবের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা আমরা বলতে পারবো না।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, তাহেরুল মাওলানা ক্ষমতার দাপটে সরকারী রাস্তার গাছ কেটে নিয়েছেন। এর আগেও তিনি ক্ষমতার দাপটে বালারহাট হামিদিয়া আলীম মাদ্রাসার কয়েক লক্ষ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। নিরীহ গ্রামবাসী তাদের দাপটের ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। #