রাজধানীর শ্যামপুরে মো:পারভেজ (২৫) নামের এক যুবক নিজ পিতার স্রী ( সৎ মা) এর প্রেমে পড়লেন ছেলে। ঘটনা সূত্রে জানা যায় রাজধানীর শ্যামপুরের পোস্তগোলা জুরাইন গোরস্তান এলাকার বাসিন্দা মো: পারভেজ এর মা কয়েক বছর আগে মারা জান, সেই থেকে এলোমেলো জীবন পার করছেন পারভেজ ও তার ভাই বোনেরা। পরিবার গুছিয়ে আনার জন্য পারভেজ এর পিতা মো: হাবিব ( ৫০) গত ২মাস আগে দ্বিতীয় বিবাহ আবদ্ধ হয় দিনাজপুরে জেলার ২নং পলাশবাড়ী, বীরগঞ এ উপজেলা ননদিয়া লাকার বাসিন্দ, মো: শরীফুল ইসলাম এর কন্যা মোসা;শারমিন আক্তার এর সঙ্গে। সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে দ্বিতীয় বিবাহ করে এখন পথের উপরে দিন ও রাত কাটছে হাবিব মিয়ার। দ্বিতীয় বউ ঘরে আনার প্রথম সপ্তাহ না পেরোতেই সৎ মায়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জরালেন বড় ছেলে পারভেজ, অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে থাকেন দুজনেই, নিজের বাবা-র স্ত্রী সঙ্গে এমন জঘন্যতম কর্মকাণ্ডের কথা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। অনেক বাধা দিয়ো দামিয়ে রাখতে পারলেন না হতভাগা হাবিব,। কিন্তু নিজের সন্তানের সঙ্গে নিজের বউয়ের এমন জঘন্যতম কর্মকাণ্ড কিছুতেই মানতে পাছেন হাবিব, অতঃপর জানাজানি হয় মহল্লার কিছু মানুষের মধ্যে। মহল্লাবাসীর মুখে এ কথা শোনেন পারভেজ, খুব রাগে গরগর করে নিজ বাবা কে হত্যার হুমকি দেয় ছেলে পারভেজ, ( তুই কিন্তু অনেক বাধা দিতাছোস ভালো হইবো না, আমি আর শারমিন দুইজন দুইজন রে পছন্দ করি আমরা নতুন করে বিয়া করমু, তুই যাগা নয়তো তোর লাশের খবর ও পাওয়া যাইবো না) ছেলের এমন জঘন্যতম আচরণ সহ্য করতে না পেরে অসহায় হাবিব ঘড় ছেড়ে চলে যায় মাজারে টানা ৩দিন পরে, আজ সকাল ভোরে বাসায় ফিরে যেতেই দেখেন ছেলে পারভেজ বিয়ে করে নিয়েছেন তার সৎ মা’কে ( নাউজুবিল্লাহ) ততক্ষণিক জানাজানি হয় সমগ্র মহল্লায়, ভির জমত শুরু করেন হাবিব মিয়ার বাসায়, নিন্দা জানাচ্ছেন প্রতিবেশীদের সবাই,ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে দোষী পারভেজ (হাবিব মিয়ার ছেলে) বলেন তার পিতা মোহাম্মদ হাবিব মিয়া তার পুত্র পারভেজ কে বাধ্য করে সে জেনো তার সৎ মাকে বিয়ে করেন অতঃপর স্থানীয় মানুষের পক্ষ হইতে আরো বেশি কৌতূহল জেগেছে এরপর সবাই হাবিব মিয়া কে জিগ্যেস করার জন্য ডাকে কিন্তু ততক্ষণে পারভেজ এর পিতা হাবিব মিয়া ঘটনাস্থল থেকে পালায়ন করেন। বাধ্য হয়ে মহল্লা বাসী শ্যামুর থানায় কল করে ঘটানার বিস্তারিত জানান কিন্তু এখনো তাদের কে আইনের হেফাজতে নেওয়া হয়নি। আশেপাশের বিভিন্ন দলের বিভিন্ন লোকজনের নির্মম নির্যাতিত হচ্ছেন দোষী পারভেজ ও শারমিন দিতে হচ্ছে মোটা অংক। শ্যামপুর থানার বর্তমান ওসিকে জানানো হয়। এবং ততক্ষণিক শ্যামপুর থানার বর্তমান ওসি’র নির্দেশনায় প্রশাসনের একটি টিম এসে ঘটনাস্থল থেকে মহল্লাবাসীর হাত থেকে পারভেজ ও তার সৎ মা কে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।