লক্ষীপুর পৌরসভা টি প্রতিষ্ঠিত ১৯৭৬ সালে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের ফলে গত ১৪ ই নভেম্বর ২০২৪ ই তারখে লক্ষীপুর পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ জসিম উদ্দিন নিয়োগ প্রদান করা হয়। তিনি পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়ার পর পৌরসভার ভাড়া ভবন থেকে গত পহেলা সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে নিজস্ব ভবন পৌর বিপনি বিতানে ৪র্থ তলায় পৌরসভার কার্যক্রম পরিচালনা করে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি পৌরসভাকে সুশৃঙ্খল, জনবান্ধব ও আধুনিক দপ্তরে রূপ দিতে কাজ করছেন। সম্প্রতি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানান, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা বর্তমানে নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দায়িত্ব গ্রহণের সময় পৌরসভার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে প্রায় ২৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার দেনা ছিল। গত ১০ মাসে রাজস্ব আয়ের সঞ্চিত অর্থ থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব নেয়ার পর পৌরসভাকে নিয়মের মধ্যে এনে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার চেষ্টা করছি। ফাইলপত্র, স্টাফ ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা চলছে।” এরই ধারাবাহিকতায় পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে আধুনিক বিপণি বিতানের চতুর্থ তলায় দপ্তর স্থানান্তর করা হয়েছে। নতুন অফিসে নাগরিকদের জন্য বসার জায়গা, পানীয় জলের ব্যবস্থা, নামাজের ব্যবস্থা, সিটিজেন চার্টার ও কালেকশন বুথ রাখা হয়েছে, যাতে সহজে সেবা পাওয়া যায়। প্রশাসক আরও জানান, “আগে ভাড়া ভবনে অকওয়ার্ড পরিবেশে পৌরসভা পরিচালিত হতো। এখন নতুন স্থানে জনগণের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। কর্মপরিবেশও অনেক উন্নত হয়েছে।” জনবান্ধব উদ্যোগের অংশ হিসেবে পৌর ভবনে একটি আধুনিক লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে, যা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের ৬ কোটি টাকার বকেয়ার মধ্যে আড়াই কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। পৌরসভার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে জসীম উদ্দিন বলেন, “নিজস্ব অর্থায়নে আমরা দুটি জায়গা কিনেছি। একটি পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য কলোনি এবং আরেকটি ডাম্পিংয়ের জন্য, যার জন্য ব্যয় হয়েছে ৮০ লাখ টাকা।” তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা আরও ভালো অবস্থানে যাবে এবং উন্নয়নমূলক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।