৩ নং দালাল বাজার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আবু তাহের তাবু। গত আওয়ামী শাসন আমলে পরিচিত ছিল আওয়ামী দালাল হিসাবে। জানা যায় ৯৮ সালে আলোচিত সুজা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিল আবু তাহের তাবু ওরপে খুনি তাহের। আরো জানা যায় জুয়া খেলার সময় টাকা নিয়ে জামেলা সৃষ্টি হলে মৃত্যুর ঘঠনা ঘঠে পরবর্তী তে বিপুল অংকের টাকা দিয়ে সমঝোতা করা হয়।
তাবু গত শাসন আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তেলবাজি করে চলতো। কখনো বা মেয়র তাহেরের আত্মীয় কখনো মেয়র মাসুম ভূইয়ার কাছের লোক আবার কখনো এমপি নয়নের লোক হিসেবে পরিচয় দিতো। ছেলে শাহাদাত হোসেন মঞ্জু ছিল ছাত্র লীগের ক্যাডার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে জানা যায় এই শাহাদাত হোসেন মঞ্জু জমিদখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতাদের নারী সাপ্লায়ার ছিল। তার ই নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতাদের নারী সাপ্লাই করতো আর বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো।৷ বর্তমানে তাবু লক্ষীপুর পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী। সে বিভিন্ন সময় ক্ষমতাশালী নেতাদের কে বিভিন্ন উপহারের মাধ্যমে মেনেজ করে আসছে। ১৫ নং ওয়ার্ডের জনগণের দাবী সভাপতি নির্বাচনে কোন সুবিধা বাদী কে যেন পার্থী না হতে পারে তা যেন জেলা নেতাদের নজরে রাখেন। কেউ কেউ বলেন যদি কোন আওয়ামী দোসর নির্বাাচনে পার্থী হয় তাহলে তাকে বয়কট করে ভোটের মাধ্যমে উচিত জবাব দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্হানীয় লোকজন জানান তাবুর অর্থের যোগান দেয় তার ইউরোপ প্রবাসী ভাতিজা কামরুল তার ই অর্থের বাহাদুরি তে তাবু এতো বেপরোয়া। বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে তাবুর ভোটের প্রচারণা করে। এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায় তাবু মানসিক বিকারগস্ত একজন লোক তার কাছে কি ছেলে কি ভাতিজা কি নারী কি পুরুষ সবার সাথে অশালীন কথা বার্তা বলে মা বোন কে একসাথে গালিগালাজ করে ক্ষেত্র বিশেষ লুঙ্গির কাপড় উলটিয়ে অশ্লীল অঙ্গ ভোংগী করতে ও পিচ পা হয় না। এই সব বিষয়ে মুঠোফোনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাবু এলাকার কিছু সংখ্যক অসাধু দুর্নীতিবাজ লোকজন নিয়ে একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অপকর্মে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কখনো মুখ খুলতে সাহস করে না। তাদের কারনে সমাজে কেউ কোন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারে না যখনই কেউ কোন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করতে যায় তখনই এই সিন্ডিকেট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে সামাজিক মানসম্মান ক্ষুন্ন করে। এই সিন্ডিকেটের কাজ হল গরীব অসহায় মানুষের উপর জুলুম, মসজিদের জমি বিক্রি করবে বলে বায়না বাবদ টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রারি না করে গরীব মানুষ কে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা, সরকারি খাস জমি দখল করে ঘর তোলে দোকান ভাড়া দেওয়া সহ শালিসের নাম।করে দুপক্ষের মধ্যে কলহ বিবাদ সৃষ্টি করা।
তাবুর ব্যাপারে দলের নেতাকর্মীদের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বিভিন্ন নেতারা বলেন তাবু আওয়ামী লীগের দালাল ও দোসর ছিল তাকে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে এলাকার জনগন।
সভাপতি হিসেবে পার্থী হিসেবে তাবু মেম্বার, হোসেন, এড. মিন্টু ও হারুনের নাম শুনা যায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাইফুল ইসলাম মহিম, আলমগীর, কামাল আজিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আলমগীর ও রহিমের নাম শুনা যায়। ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির এই নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং ভোটারেরা সঠিক ও যোগ্য পার্থী নির্বাচন করবে এটাই সকলের প্রত্যশা।