লক্ষ্মীপুর পৌর শিশু পার্ক সংলগ্ন স্থানে কাগজ জালিয়াতি করে নামজারি জমা খারিজ করার অভিযোগ উঠেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির মাষ্টারের পরিবারের বিরুদ্ধে। তাহারা দলিল উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে বাহার উদ্দিনের ডিপি খতিয়ান জালিয়াতি করে সাজ্জাদ হোসেন, রাবেয়া আক্তার,তানজিনা আক্তার নাম দিয়ে একটি ভূয়া ডিপি খতিয়ান তৈরি করছে। পৌর ভূমি কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভূমি করও দিয়েছে তারা। অথচ এই ভূয়া খতিয়ানের কোন তথ্য নোয়াখালী উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে পাওয়া যায়নি।
এখানেই শেষ নয় সাজ্জাদ গংদের জালিয়াতি তারা অন্য কাগজপত্র দিয়ে পৌর ভূমি অফিসারের সহযোগিতা ২০ এপ্রিল ২০১৯ ইং একটি জমাখারিজ (১০০১০)৪৬০১/২০১৮-১৯ইং করেন।
যাহা বর্তমানে আরএস (ছাপা) খতিয়ান হওয়ার কারণে পূর্বের ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে যেই নামজারি করেছে তাহা বর্তমান অটোমেটিক বাতিল হয়ে গিয়েছে।
এই জালিয়াতি বিষয়ে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাছে একটি মিছ মামলা করেন ভুক্তভোগী। এসব জালিয়াতি কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগীরা।
এর আগেও ৮০৪৩ দাগে সাজ্জাদ হোসেন একটি সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত মতামত নেওয়ার জন্য অবৈধ দখলদার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন গং’রা লক্ষ্মীপুরের কয়েকজন সিনিয়র এডভোকেটদেরকে দিয়ে গত ১৯-০৪-২০১৪ইং তারিখে একটি আইনি সালিশের আয়োজন করেন। উক্ত আইনি সালিশে ১ম পক্ষ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন গং কোন সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ২য় পক্ষ মোঃ শাহাজান,মোঃশহীদুল ইসলাম ও খলিলুর রহমান ৮০৪৩ দাগে ২৬ ডিং ভূমির মালিকানা ও দখল এবং দালিলিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
তাহারা জানান, ১১৬৩ খতিয়ানে ৮০৪৩ দাগে জমি ২৬ শতাংশ জমিনের জন্য ১০ এপ্রিল ২০০০ সালে একটি স্হানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর জমিনের মুল মালিকগণ তিনজনের কাছে বিক্রিয় করেন। ঐ তিন জনের নামে ২০০৭/ ২০০৮ সালে জমাখারি খতিয়ান করাও হয়েছে এবং বর্তমানে ছাপা খতিয়ান ঐ তিনজনের নামে হয়েছে।
জানাযায়, ১১৬৩ খতিয়ানে ৮০৪৩ দাগে মোট জমির পরিমান ২৬ শতাংশ। ঐ ৮০৪৩ দাগের মোট জমিন ২৬ শতাংশ, সব জমিন ২০০০ সালে মুলমালিকগং তিন জনে নিকট বিক্রিয় করে দেয়। বর্তমানে খরিদ কৃত মালিকগন তাদের নিজেদের নামে আলাদা আলাদা করে খতিয়ান করেন। ক্রয়কৃত এই তিনজন জমিনের মালিক হচ্ছে, মোহাম্মদ শাহাজান পিতা মৃত-নুর মিয়া হাওলাদার সাং পশ্চিম দিঘলী খরিদ কৃত জমির পরিমান ৬.৫০ শতাংশ,খতিয়ান নং ৪৯৩৪ তাং১৩/২/২০০৮, ডিপি খতিয়ান নং-৭৬৫৫, মো: খলিলুর রহমান পিতা-মৃত আনোয়ার উল্যা,মোসাম্মৎ রিয়াদ রেহান পতি খলিলুর রহমান,সাং পশ্চিম দিঘলী, জমির পরিমান ১৩ শতাংশ, খতিয়ান নং-৪৮৩৬,তাং-২/১২/২০০৭, ডিপি খতিয়ান নং-৩৩০৪, এবং মোসাম্মৎ সেলিনা আক্তার পতি শহীদুল ইসলাম সাং পাঁচ পাড়া,জমির পরিমাণ ৬.৫০ শতাংশ, খতিয়ান নং ৪৭৪৬,তাং ৯/৯/২০০৭, ডিপি খতিয়ান নং-৬৫৬৭ , উক্ত ব্যক্তিগন জমিন খরিদ করিয়া ভোগদখল করে আসছে। তাহারা বাড়ি করার জন্য লক্ষ্মীপুর পৌরসভা থেকে ৮০৪৩ দাগে তিনজনকে সীমানা প্রাচীর ও পাঁচতলা আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য অনুমতি প্রদান করেন।
এবিষয়ে পৌর ভূমি কর্মকর্তা আলী আহমদ জানান, যে কাগজ দিয়ে জমা খারিজ করেছে, বর্তমানে আরএস (ছাপা) খতিয়ান ও অনলাইন হওয়ার কারণে পূর্বের সকল জালিয়াতি শেষ হয়েছে। এখন পূর্বের নামজারি দিয়ে কিছুই করিতে পারবে না।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ জানান, আগের জমাখারিজ অটোমেটিক বাদ হয়ে গিয়েছে,এখন আরএস (ছাপা) খতিয়ান দিয়ে চলবে।
মুশফিকুর রহমান সৈকত