লাখাই উপজেলার ৬ নং বুল্লা ইউনিয়নের পূর্ব বুল্লা গ্রামের আব্দুস শহীদের নাতি আলামিনের ৫ বছরের শিশু পুত্র মোজাম্মেলকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শরিফুল ইসলাম(৩৭)নামের এক ব্যক্তি । অপহরণকারী শরিফুল ইসলাম(৩৭) উপজেলার নকলাউক গ্রামের মোঃ রজব আলীর ছেলে।গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বুধবার শফিকুল ইসলাম পূর্ব বুল্লা আব্দুস শহীদের বাড়িতে বেড়াতে আসে।যথারীতি মেহমান হিসেবে তাকে আদর আপ্যায়ন করে।পরদিন বৃহস্পতিবার আসামি শরিফুল ইসলাম সকালে শিশু বাচ্চা মোজাম্মেল কে নতুন জামা কাপড় কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাজারে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় মোজাম্মেলকে বাড়িতে খুঁজে না পাওয়ায়। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখুঁজির পর আসামি শরিফুল ইসলামের কাছে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করে নাই। কিছুক্ষণ পর মোজাম্মিলের বাবা আলামিনের কাছে এসএমএস দিয়ে ৩০০০০ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে, তার দাবির প্রেক্ষিতে মোজাম্মেলের বাবা ছেলেকে উদ্ধারের জন্য ০১৭৭৫৪৩৭৩১২ এই নাম্বারে ১০০০০ টাকা বিকাশ করে। পরবর্তীতে আরো একটি এসএমএসে জানায় তার কথামতো ৩০০০০ টাকা না দিলে শিশু বাচ্চাকে মলম পার্টির হাতে তুলে দেবে।এই খবর পাওয়ার পর মোজাম্মেলের দাদা আব্দুস শহীদ লাখাই থানায় উপস্থিত হইয়া নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আবেদনের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেলের নির্দেশে। এবং লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বন্দে আলীর দিকনির্দেশনায়, এস আই শৈলেশ চন্দ্র দাস ও এএসআই আনোয়ারুল হক সহ পুলিশ ফোর্সের সহায়তায়। সিলেটের কদমতলী একটি হোটেল থেকে আসামি শফিকুল ইসলামসহ অপহরণকৃত শিশু বাচ্চা মোজাম্মেল কে রাত সাড়ে তিন ঘটিকার সময় উদ্ধার করে লাখাই থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে অপহরণকারী বিরুদ্ধে লাখাই থানায় মোজাম্মেলের দাদা বাদি হয়ে অপহরণ মামলা করেন।উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে লাখাই থানা কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।