লাখাই উপজেলার ৬ নং বুল্লা ইউনিয়নের অন্তর্গত মাদনা বাজারের সরকারি জায়গা দখল করে আছে একদল ব্যবসায়ী। যার কারনে প্রকৃত ইজার আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইজারাদাররা।
জানাযায়,লাখাই উপজেলার মাদনা বাজার টি পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ইজারা আনেন বেগুনাই গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের পুত্র আবুল কালাম মিয়া। তিনি সরকার কর্তৃক মাদনা বাজার নির্ধারিত মূল্যে ইজারা পাওয়ার পর ইজারাকৃত বাজারের অধীনে সরকারী মহিলা মার্কেট সহ অন্য দোকানপাট গুলোতে ইজারা চাইতে গেলে দখলকারী ও ব্যবসায়ীগণ ইজারাদারদের ইজারা দিতে অসম্মতি জানান।
এ ব্যাপারে ইজারাদার আবুল কালাম বলেন,আমি ইজারা পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারী মহিলা মার্কেট, নৌ ঘাট,সরকারী জায়গা থেকে কোন ধরনের ইজারা আদায় করতে পারতেছি না।শুরুতে নৌ ঘাটের ইজার নেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যবসায়ী বা অনেকেই বলে নৌ ঘাটের কোন ইজারা নেই।তাই আমি চাই সঠিক তথ্য অনুযায়ী যদি নৌ ঘাটে ইজারা আদায়ের নিয়ম তাকে তাহলে,আমি যেন ইজারা আদায় থেকে বঞ্চিত না হই। আমি নৌ ঘাট থেকে কোন ইজারা এখন পর্যন্ত নেইনি। বাজারের মহিলা মার্কেটের দোকানগুলো মাদনা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অমূল্য রায় দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে আসছে। এবং বাজারের বাকি সরকারী জায়গার দোকান গুলো দখল করে আছে সম্ভু, বিষ্ণু সহ অনেকেই।আমি এখন কোথায় থেকে ইজারা আদায় করবো।এ বাজারে নৌকা ঘাট,মহিলা মার্কেট,আর কিছু দোকান পাট ছাড়া কোন সরকারি জায়গায় নেই। এগুলো থেকে আমি ইজারা আদায় না করতে পারলে কোথায় থেকে ইজারা আদায় করব। প্রশাসনের কাছে আমার একটাই দাবি আমি যেন প্রকৃত বাজারে জায়গা থেকে ইজারা আদায় করতে পারি।
গতকাল শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি মহিলা মার্কেটের প্রত্যেকটি রুম ধান,ধান মারাইয়ের মেশিনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র রেখে দখল করে রেখেছে বাজারের সভাপতি অমূল্য রায়। এবং কিছু জায়গা দখল করে আছে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে মাদনা বাজায় ব্যবসায়ী সভাপতি অমূল্য রায়ের সাথে আলাপ করলে, তিনি মহিলা মার্কেট দখলের কথা স্বীকার করে বলেন আমি শুধু একাই দখল করে রাখিনি, কিরণ মাস্টার সহ আরো অনেকেই দখল করে রেখেছে।মহিলা মার্কেটের জন্য ইজারে দেওয়া হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোন ইজারা দেই না।তিনি আরো বলেন প্রথমে ইজারাদারগন নৌকা ঘাট থেকে ইজারা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে আমরা বাধা দিলে আর ইজারা নেয়নি।
ইজারা আদায়ের ব্যাপারে ব্যবসায়ী মানিক দাস,কৃষ্ণ রায়,প্রাণেশ সরকারসহ অনেকই বলেন,আমাদের কাছ থেকে কোন ধরনের ইজারা নেওয়া হয়নি।
নৌকা থেকে ইজারা আদায়ের ব্যাপারে নৌকা ঘাটের সভাপতি জমাল মিয়া সহ কয়েকজন মাঝি বলেন,আমারা কোন ধরনের টুল বা ইজারা দেইনি।আমরা কোন নৌকার জন্য ও ইজারা দেইনি।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী শারমিন নেওয়াজ বলেন,সরকারী মার্কেটে থেকে ইজারা আদায় করবে বাজারের ইজারাদারগণ।তবে কেউ যদি দখল করে রাখে সেটা দেখবো।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করলে,ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।