আজ রবিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শ্রমিকদের দুটি গ্রুপই নিজেদের বিএনপির শ্রমিক দলের নেতা কর্মী বলে দাবী করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের পুরনো রেজিস্ট্রেশন নম্বর (২৪৯৩) বহাল রাখার দাবিতে শ্রমিক নেতা বাবলুর নেতৃত্বে একটি পক্ষ মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে, একই সংগঠনের অন্য পক্ষ নতুন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সমাবেশ করছিল। দুই পক্ষেই বাসটার্মিনাল নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। যখন বাবলুর নেতৃত্বে মিছিলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পৌঁছায়, তখন উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। প্রথমে হাতাহাতি এবং পরে সংঘর্ষে রুপ নেয়। শুরু হয়ে যায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ উভয় শ্রমিক সংগঠনের উপর মৃদু লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশ টিকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। এতে এক পুলিশ সদস্য, দুই সংবাদকর্মীসহ শ্রমিকদের দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়। ঘটনার পর পরে রিজার্ভ পুলিশ এসে উভয়কে ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ও পরিবেশ শান্ত রয়েছে। জানমালের নিরাপত্তা ও হেফাজতে পুলিশ যেকোন পরিস্থিতিতে কঠোর হতে বাধ্য হবে বলেও তিনি জানান।