1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আমতলীতে ব্যবসায়ী মারধরের শিকার বেরোবিতে ‘কোয়ান্টাম কেমিক্যাল ক্যালকুলেশন ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত শত বছরের পুরোনো ভাসমান নৌকার হাটে বেচাকেনা জমজমাট পরশুরামে সড়কে মোটরসাইকেলকে জায়গা না দেয়ার অভিযোগে টমটম চালককে চার ভাই মিলে মারধর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকা পরিদর্শনে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ পড়ে আছে অচল — চাঁদা না দেওয়ায় বঞ্চিত সাধারণ জনগণ শিবগঞ্জে আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত পরশুরামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মৎস খাদ্য সহায়তা কক্সবাজারের রামুতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা –ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু আহত ৯ কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক নাহিদা আক্তারের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

শত বছরের পুরোনো ভাসমান নৌকার হাটে বেচাকেনা জমজমাট

এসএম. তৌহিদুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুরের নেছারাবাদে ১০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ভাসমান নৌকার হাট এখন জমজমাট। নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের আটঘর খালে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে ভাসমান নৌকার হাটটি।

আটঘর-কুড়িয়ানার খালে সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার দুদিন হাট বসে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। পিরোজপুরের নেছারাবাদ, ঝালকাঠির ভীমরুলি ও বরিশালের বানারীপাড়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাগুলোতে ব্যাপক আকারে পেয়ারা ও আমড়া হয়। বর্ষা মৌসুমে শস্য ও পেয়ারার উৎপাদন বেড়ে গেলে কৃষকরা ভাসমান বাজারে ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় বেচাকানোর জন্য ব্যবহার করেন নৌকাগুলো।

এ হাটকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করে আশ্বিন পর্যন্ত নৌকা কেনাবেচার ধুম পড়ে। বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেয়ারার বাজার এখানে, সাথে আমড়া। পর্যটক আসে দেশ বিদেশ থেকে।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে পেয়ারা, আমড়া, ছাই দিয়ে মাছ ধরা এবং গরুর খাবার সংগ্রহে নৌকার কদর বেশি থাকে। মূলত এ আমড়া ও পেয়ারার চাষ হয় খাল তীরবর্তী বাগানে, যা সংগ্রহ করতে প্রয়োজন হয় নৌকার। একই সঙ্গে জলপ্রধান এলাকা বলে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার জন্যও নৌকার দরকার হয়। আবার এসব এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবারই যাতায়াতের জন্য নিজস্ব নৌকা ব্যবহার করেন। আটঘর নৌকার হাটের মূল ক্রেতা তারাই।

নৌকা ব্যবসায়ীরা বলেন, হাটের দিন ভোরে কারিগরদের কাছ থেকে নৌকা কিনে ট্রলারে করে হাটে নিয়ে বিক্রি করি। বেচাকেনা ভালো হলে প্রতি হাটে ৫০ থেকে ৬০টি নৌকা বিক্রি হয়। নৌকাপ্রতি লাভ হয় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। আবার কখনও লোকসানও হয়।

নৌকা তৈরির কারিগররা বলেন কড়ই, চম্পল ও মেহগনি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় নৌকা।

আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সবুজ মজুমদার বলেন, এ বাজারে এসে কোনো ক্রেতা এবং বিক্রেতা যাতে হয়রানির শিকার না হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটকদের বসার জন্য প্রয়োজনে বড় ছাতা ও শেডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাজারকে ঘিরে আমাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান কালবেলা বলেন, এ ঐতিহ্যবাহী হাটটি ১০০ বছরেরও আগে শুরু হয়েছে। এখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ভ্রমণ করতে আসেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সব সময় সোচ্চার ও হাটের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে উপজেলা প্রশাসন সবসময় সতর্ক আছে। এ ছাড়া ইতোমধ্যে পর্যটকদের থাকার জন্য রেস্ট হাউসের কাজ চলমান রয়েছে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com