শেরপুরের কৃতি সন্তান জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আলহাজ্ব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ আগস্ট শুক্রবার বাদ জুম্মা তার ছেলে মুহাম্মদ হাসান ইমাম ওয়াফীসহ শহীদ মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ভক্ত, আত্মীয়-স্বজন কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
শহীদ কামারুজ্জামানের ছেলে মুহাম্মদ হাসান ইমাম ওয়াফী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নামে এক প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে এবং কতিপয় মানুষ দ্বারা মিথ্যা স্বাক্ষী সাজিয়ে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল মাসে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারী জেনারেল ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নেতা আলহাজ্ব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন।
পরে তাকে শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের শহীদ কামারুজ্জামানের প্রতিষ্ঠিত কুমরী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশে তাকে কবর দেয়া হয়। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের দমন নীতির কারণে পরিবারের লোকজনসহ অন্যান্যরা তার কবর আনুষ্ঠানিকভাবে জিয়ারত করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শুক্রবার ছেলে মুহাম্মদ হাসান ইমাম ওয়াফীসহ দেড় সহস্রাধিক মানুষ শহীদ কামারুজ্জামানের কবর আনুষ্ঠানিকভাবে জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। মোঃ জজ মিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ শেরপুর জেলা শাখার আমীর মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান। এসময় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ শেরপুর সদর থানার সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মোঃ আঃ রহমান।
এসময় শহীদ কামারুজ্জামানের ভক্ত ও আত্মীয়-স্বজনের কান্নায় এক হৃদয় বিদারকের সৃষ্টি হয়। কবর জিয়ারত ও দোয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোঃ রেদোয়ান ইসলাম, মোঃ হাদিউল ইসলাম, মোঃ শহীদুল ইসলাম, শিবলু মিয়া, আজাহার আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।অপরদিকে একই দিন দুপুরে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আলহাজ্ব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ছেলে মুহাম্মদ হাসান ইমাম ওয়াফীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে শেরপুরে কোটা আন্দোলনে নিহত শেরপুর সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের তারাগর কান্দাপাড়া গ্রামের মিরাজ আলীর ছেলে আইটি উদ্যোক্তা শহীদ মাহবুব আলমের কবর জিয়ারত করেন। পরে তার পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং আর্থিক সহযোগিতা করেন।