পটুয়াখালীর বাউফলে বিদ্যালয়ের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায়
সাংবাদিক পরিবারের সদস্যকে ওই বিদ্যালয়ে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কর্তৃপক্ষ। এমনই এক অদ্ভুত অভিযোগ উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীর নাম মোঃ সাইমুন ইসলাম। সাইমুন উপজোলার কালাইয় ইউপির ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা রহমত আলী সুজনের ছেলে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্রে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তদন্তের নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। ওই সংবাদ প্রকাশের জন্য শিশু সাংবাদিক মুনতাসির তাসরিফকে দায়ী করে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে মুনতাসিরের চাচা রহমত আলী সুজন তার ছেলে সাইমুনকে নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি করতে বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক সুলতান আহমেদ তাকে ভর্তি করাননি।
এ ব্যপারে রহমত আলী বলেন, আমি ওই স্কুলের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ব্যপারে কিছু জানতাম না। আমার ভাইয়ের ছেলে এই স্কুলের ছাত্র ছিল, তাই আমি তার নাম বলেছিলাম। আর তাতেই ক্ষেপে গেছে সুলতান স্যার। সমস্ত কাগজপত্র ছুড়ে ফেলে দিয়ে আমার ছেলেকে ভর্তি করতে পারবেন না বলে জানান। অভিযুক্ত শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ বলেন, আমাকে প্রধান শিক্ষক মুনতাসিরের কোন আত্মিয়-স্বজন ভর্তি করতে নিষেধ করেছেন। তাই আমি ভর্তি করিনি। অবশ্যই অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী শিরিন বলেন, সাইমুনের সাথে কি হয়েছে আমি জানি না। ভর্তি করা যাবে না এমন কোন নির্দেশ আমি দেইনি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।