যৌতুকের টাকা না পেয়ে ধর্ষণের পর পুত্রবধূকে খুন করেছে শশুর। এ ঘটনায় শশুরকে গণপিটুনি দিয়ে স্থানীয়রা হত্যার চেষ্টা করলে পুলিশ দ্রুত নিয়ে থানায় যান। দুপুরে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের তেঁতুলঝোড়া এলাকার একটি দোতলা ভবনের রুম থেকে নিহতের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। স্থানীয়রা জানায়, গত এক বছর আগে সেলিম নামের এক যুবকের সাথে বিশ বছর বয়সী লতার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তারা সোলেমান মিয়ার দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এ সময় একই বাড়িতে নিহত লতার বাবা-মা ও ছেলের বাবা-মাও রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো। পরে বিয়ের পর থেকেই কয়েক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী সেলিম ও শ্বশুর মাসুদ মিয়া চাপ দিচ্ছিল লতার উপর। পরে রাতে আবারো যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুর পুত্রবধূ লতাকে ঘরের মধ্যে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় নিহত লতা বেগমও বাঁচার জন্য শশুরকে সারা শরীরে আঘাত করেন। কিন্তু আঘাত করেও তিনি মৃত্যুর কাছে হেরে যান। পরে স্থানীয়রা দুপুরে ঘরের মধ্যে লতা বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হত্যাকারী লতা বেগমের শ্বশুর মাসুদ মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করলে পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেলে যোগে থানায় নিয়ে যান। এদিকে নিহত লতার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, চারজন মিলে তার মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনার পর থেকে লতা বেগমের স্বামী সেলিম মিয়া পলাতক রয়েছে। ভয়াবহ নির্যাতনে এ হত্যার পরে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সবুজ বলেন, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে ও তার স্বামীকে আটকের চেষ্টা করছে। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে আরো অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।