সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) আসনে ১৪ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে এই আসন গঠিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গণমানুষের আস্থাভাজন নেতা আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি, মশাল মার্কায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোস্তফা কামাল বকুল, জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে উদীয়মান তরুণ নেতা মোঃ হিলটন প্রামানিক স্বস্ব দলের দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে মাঠে-ময়দানে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে। কোন দল থেকে কোন প্রার্থী কত ভোট পাচ্ছে তা নিয়ে চায়ের দোকানে, হাট-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলছেরা বিশ্লেষণ। শেষ মুহুর্তে কে বিজয়ী হয়ে হাঁসবে বিজয়ের হাঁসি। এবার সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া -সলঙ্গা) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪,৪৩,৪৪০ (চার লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার চার শত চল্লিশ জন)। পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২,২৭,১৪৮ (দুই লক্ষ সাতাশ হাজার একশত আটচল্লিশ জন)। মহিলা ভোটার সংখ্যা ২,১৬,২৮৪ (দুই লক্ষ ষোল হাজার দুই শত চুরাশি জন) এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার সংখ্যা ০৮ (আট জন)।
তবে যমুনা পারের এই আসনে নির্বাচনের আমেজ একটু ভিন্ন রকমের। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত অংশ গ্রহন না নেওয়ায় তাদের ভোট নিজের ব্যালটে নেওয়ার চেষ্টা করছে জাতীয় পার্টি ও জাসদ প্রার্থী। তবে স্থানীয় আওয়ামীলীগে কোনো কোন্দল না থাকায় জাতীয় স্বার্থে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক কাতারে কাজ করছে বলে জানান আ’লীগ দলীয় নেতা-কর্মীরা। তারা আরো জানান এ নির্বাচনে নৌকার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত। ভোটাররাও নিজেদের মতো করে হিসাব নিকাশ কষতে শুরু করেছে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগে। তবে সিরাজগঞ্জ -৪ আসনে গত ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফি প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ভোট পেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলো।
উপজেলার চন্দ্রগাঁতী গ্রামের ভোটার জাতীয় পার্টির নেতা বকুল জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের বিজয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জামায়াত – বিএনপির ভোটারা ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পেলে অবশ্যই লাঙ্গল বিজয়ী হবে। উপজেলার দহকুলা গ্রামের ভোটার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুবুল আলম ভুলু জানান, এ নির্বাচনে শান্তির প্রতীক নৌকা শতভাগ বিজয়ী হবে বলে তিনি আশাবাদী। উপজেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান রাজু জানান, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে মশাল মার্কাই বিজয়ী হবে।
জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হিলটন প্রামাণিক জানান, তরুণ ভোটারা তাকেই ভোট দিবে এবং সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবেন ইনশাআল্লাহ।আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত নৌকার মাঝি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ- উদ্দীপনা রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হলে অনেক ভোটে বিজয়ী হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহযাত্রী হবেন বলে জানান তিনি। জাসদ প্রার্থী বকুল বলেন, ভোটের মাঠে তিনিই বিজয়ের হাসি হাসবেন।