রবিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ঈশা মিয়া প্রতিদিনের ন্যায় লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষের কক্ষে বসে অফিস করছিলেন।
এমতবস্থায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যপক মোঃ রবিউল ইসলাম ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যপক হাবিবুর রহমান মিঠুল অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সামনের চেয়ারে বসে এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘আপনার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করার কোন যোগ্যতা নাই, আপনি এক্ষুনি পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে এই কলেজ থেকে চলে যাবেন, অন্যথায় আপনার বিপদ হবে।’
এমতাবস্থায় উভয় পক্ষ চড়াও হলে সরকারী কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সহ ইসা মিয়ার বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে অকট্র ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইসা মিয়ার শার্টের কলার টেনে ধরে, মুখের উপর ও মাথায় এলোপাতারি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এরই মধ্যে উক্ত ঘটনার শোরগোল হলে অন্যান্য সহকারি অধ্যাপক গন ইসা মিয়াকে উদ্ধার করে।’
এই ঘটনায় কলেজের সভাপতি এ্যাড. ফয়সাল বিন মোশারফ জানান, ‘আমি বেলা বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে জানতে পেরে সাথে সাথে কলেজে চলে এসে সকল বিষয় শুনেছি এবং পুলিশের খবর দেই, ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’ তিনি আরো জানান, ‘এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগামী মিটিংয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এবিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, পরে কথা বলবেন বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর নবী জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’