দিনাজপুরের হাকিমপুর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থী হত্যা ও নাশকতা সৃষ্টি পরিকল্পনা মামলায় নিষিদ্ধ আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের তিনজন সহ ওয়ারেন্ট ভূক্ত ১১ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতভর হাকিমপুর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসামীদের নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নাজমুল হক।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন, উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের তোশারফ হোসেনের ছেলে মোখলেছার রহমান (৬৭)। সে উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানায় পুলিশ। হাকিমপুর থানা মামলা নং ০৭।এছাড়া নাশকতা সৃষ্টি পরিকল্পনা মামলায় পৌর শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে জোবায়েদ ওরফে রকি (৩৭)। সে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক বলে জানায় পুলিশ এবং উপজেলার নয়ানগর চকভবানি গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের ছেলে রাজ্জাক আলী ওরফে সুমন (৩৭)। সে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক বলে জানায় পুলিশ। হাকিমপুর থানা মামলা নং ১৭।
এছাড়া জিআর মামলায় বৈগ্রাম এলাকার মালো এর স্ত্রী ফাতেমা (৪৬), লোকমানের ছেলে মলো (৫৯), হায়দার এর ছেলে হান্নান (৪১), আঃ সাত্তারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪৮) আত্তার আলীর ছেলে হারুন (৩২), আজিজার রহমানের ছেলে রুবেল (২৮), সোনা রাজ এর ছেলে তানছেল (৩৫) এবং আঃ সাত্তারের ছেলে মোখলেসার (৩৩)।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নাজমুল হক জানান, থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আমার নেতৃত্বে এবং পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত এস এম জাহাঙ্গীর আলমের পরামর্শে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, সুজা মিয়া সহ পুলিশের একটি চৌকস দল রাতভর অভিযান চালিয়ে গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাকিমপুর দুই শিক্ষার্থী হত্যা অভিযোগে মামলায় মোখলেসার রহমান, নাশকতা সৃষ্টি পরিকল্পনা মামলায় জোবায়েদ ওরফে রকি ও রাজ্জাক আলী ওরফে সুমন কে তাদের নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া জিআর মামলায় ওয়ারেন্ট ভূক্ত ৮ জন আসামীকে তাদের নিজ নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ দুপুরের পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি নাজমুল হক।