“মোরা বন্ধনহীন, জন্ম-স্বাধীন, চিত্তমুক্ত শতদল”— এই প্রেরণাদায়ী স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী ১২৬তম নজরুল জয়ন্তী ২০২৫। আগামী ২৫ মে রবিবার থেকে এই উৎসবের সূচনা হবে।
পুষ্পস্তবক অর্পণ, বর্ণিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, গৌরবময় নজরুল পদক প্রদান, মননশীল আলোচনা সভা, জ্ঞান ও সংস্কৃতির মিলনমেলা বইমেলা, হৃদয়ছোঁয়া সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং আন্তর্জাতিক নজরুল বক্তৃতামালা-২০২৫ সহ নানা নান্দনিক আয়োজনে এবারও উদযাপিত হতে যাচ্ছে জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তী। আজ ২৪ মে (শনিবার) নতুন প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্য দপ্তরের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও ভাবগম্ভীর ও উৎসবমুখর পরিবেশে নজরুল জয়ন্তী পালনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন সজ্ঞান আন্তরিকতায়।
জয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “জয়ন্তীর প্রথমদিন উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ ফায়েজ। দ্বিতীয় দিন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘নজরুল পদক’ প্রদান করবেন শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সি. আর. আবরার। এবছর নজরুল-গবেষক প্রফেসর ড. রশিদুন্ নবী ও নজরুল-সংগীত শিল্পী মো. ইয়াকুব আলী খান নজরুল পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আপনারা জানেন নজরুল জয়ন্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক নজরুল বক্তৃতামালা অনুষ্ঠিত হয়। এবছর চারটি অধিবেশনে এই বক্তৃতামালা আয়োজিত হতে যাচ্ছে। প্রথম দিবসে দুটি অধিবেশন ও দ্বিতীয় দিবসে দুটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সব অধিবেশন পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও নজরুল অনুরাগীরা এইসব অধিবেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা করবেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য এবং নাটক। নজরুল জয়ন্তীকে সাড়ম্বরে উদযাপনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সুসজ্জিত করে আলোক শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
নজরুল জয়ন্তীকে সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সাংবাদিক, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন, এলাকাবাসীসহ সকলের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রত্যাশা করে জয়ন্তীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানান মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ. এইচ. এম. কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মো. আশরাফুল আলম, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স) সহ ময়মনসিংহ, ত্রিশাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকৃন্দ।