বাগেরহাট শহরের ভৈরব নদীর তীর ঘেঁষে নির্মিত শহররক্ষা বাঁধ সংস্কারের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের বিষয়ে দ্রুত আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হবে।
২০০২ সালে ভৈরব-দড়াটানা নদীর তীর ঘেঁষে তৈরি করা বাঁধটি এখন সাধারণ মানুষের কাছে দুর্ভোগের আরেক নাম। একটু ভারি বৃষ্টিপাত হলেই শহর প্লাবিত হয়ে যায়। স্লুইচ গেটগুলো নিচু হয়ে আছে। বন্যার সময় পানি প্রবেশ করলে শহর থেকে তা অপসারণ হতে অনেক সময় লাগে। শহরে জলবদ্ধতা দেখা দেয়। মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে চলে যায়। তাই শহরবাসীর পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বাঁধটি সংস্কারের দাবি জানানো হচ্ছিল।
স্থানীয়দের এই দাবির বিষয়ে সোমবার (২৩ জুন) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সঙ্গে তার অফিসকক্ষে সাক্ষাৎ করেন বাগেরহাট অফিসার্স ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ মশিউর রহমান এবং আহ্বায়ক ড. মো. ফরিদুল ইসলাম বাবলু। দুজনই বাগেরহাটের সন্তান এবং সরকারের সাবেক সচিব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘সচিব মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে আমরা বাগেরহাট শহররক্ষা বাঁধটির বেহাল দশার বিষয়টি তুলে ধরি। আমাদের উপকূলীয় শহর, তাই ঝড়ঝাপ্টার সঙ্গে নিয়মিত লড়াই করতে হয়। পূর্ণিমা-অমাবস্যার জোয়ারে অহরহ প্লাবিত হয় শহর। আগের চেয়ে পানির চাপও বাড়ছে। স্থানীয় প্রায় সব নদী-খালের তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এতদিন এসব দিকে কেউ নজর দেয়নি। সচিব মহোদয় বাঁধটির গুরুত্ব অনুধাবন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, খুব দ্রুত বাজেটটি পাস হয়ে যাবে।’’