বগুড়া জেলা প্রশাসক চত্বর বটতলায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু’র মুর্যাল দৃষ্টি কাড়বে নতুন প্রজন্মের তরুন-তরুনীদের। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে মুর্যালটি নির্মান করছে বগুড়া জেলা পরিষদ। আগামী ৭মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষনের দিনে ম্যূারালটি উদ্বোধন করা হবে।
জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের রাজধানীখ্যাত ও বানিজ্যিক শহর বগুড়ায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল না থাকায় বটতলায় অস্থায়ীভাবে মুর্যাল বানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হতো। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস জানানোর জন্য মুর্যালটি নির্মানের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। গত বছরে এ বিষয়ে একটি জরুরী সভা হলে সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মুর্যালটি নির্মানের। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে মুর্যালটি নির্মান কাজ শুরু করে বগুড়া জেলা পরিষদ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নির্মান কাজ শুরু করা হয়। শেষ হবে আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে। মুর্যালটি দৃষ্টিনন্দন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। যা নির্মানের পর নতুন প্রজন্মের দৃষ্টি কাড়বে। সকল স্তরের মানুষ এখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির জনকের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রর্দশন করবেন এই প্রত্যাশায় নির্মিত। যুগ যুগ ধরে এই মুর্যাল স্বাক্ষী দেবে বাংলাদেশের স্থাপতি শেখ মুজিবুর রহমান। যার জন্মে বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম জানবে বাংলাদেশ সৃষ্টির গৌবরময় ইতিহাস।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী রামিশা রহমান জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতিকে চির স্মরণীয় করে রাখতে মুর্যালটি নির্মাণ করা হচ্ছে। যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে আমরা দেশের এবং বঙ্গবন্ধুর ইহিতাস সম্পর্কে জানতে পারবো। এটি দৃষ্টি কাড়বে নতুন প্রজন্মদের।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম শাহনেওয়াজ জানান, আগামী ৭ই মার্চে যেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সেজন্য দ্রুত নির্মান কাজ চলছে। তবে এই সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হলে আগামী ১৭ মার্চের আগে সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা প্রশাসক চত্বর বটতলায় নির্মান করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু মুর্যালটি। তবে নির্মান ব্যয় বাড়তেও পারে। বটতলায় সুনিবিড় ছায়ায় মুর্যালটি নির্মানের পর দৃষ্টি কাড়বে নতুন প্রজন্মদের।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর মুর্যাল স্থাপনের মধ্য দিয়ে বগুড়ায় এক নতুন যুগের সূচনা হবে। মুর্যালটি নির্মানের মধ্যদিয়ে বগুড়ার যারা নতুন প্রজন্ম রয়েছেন তারা স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ও বঙ্গবন্ধুর কথা জানতে পারবেন। মুর্যালটি নির্মানের জন্য কয়েক মাস ধরে চেষ্টা চলছে। অবশেষে সেটি বাস্তবায়ন হয়েছে। বর্তমানে নির্মান কাজ চলছে। আশা করা যায় আগামী ৭ মার্চের আগেই নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে। ৭মার্চ ও ১৭ মার্চ এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবে।