গ্রাম থেকে নগর, নগর থেকে রাজধানী সহ সারা দেশে হঠাৎ করেই এডিস মশার ঘনত্ব ও উৎপাত জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে। মশা অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে জনসাধারণের মনে।বাংলাদেশে বহু বছর ধরে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ থাকলেও ২০২৩ সালে এসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। এই বছরে আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে। গত ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৬৯৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ সারা দেশে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
কিন্তু সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানান পদক্ষেপ নিলেও নিয়ন্ত্রণে আসছেনা ডেঙ্গু প্রতিরোধ।যা ক্রোভিডকে হার মানিয়ে গেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা
এদিকে গত কয়েক মাস ধরে মশার যন্ত্রণায় ঘরে-বাইরে, রাত-দিন স্বাভাবিক ভাবে কাজকর্ম করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রাম থেকে নগরবাসী সকল শ্রেণির মানুষ । একই সঙ্গে তাদের মনে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আবার অনেকে মনে করেন ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথেই মশার উৎপাত ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । কিন্তু তার দমন কয়েল, স্প্রে বা মশারিতে দমন করা যাচ্ছে না।
দিনের আলোতে যদিও একটু সাভাবিক থাকে, সন্ধ্যার পর পরই মশার তীব্রতা ও ঘনত্ব শতগুণ বেড়ে যাওয়ায়,এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রাম-নগর, রাজধানীসহ সারা দেশের সকল শ্রেণির মানুষ । কোনো শ্রেণিরই মানুষই স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না।
তবে প্রশ্ন জন সাধারণের মনে – মশার আক্রমণ কিংবা ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে কি সরকারি সংস্থা গুলো ব্যার্থ? নাকি অবহেলা? ক্রোভিডকেও হার মানিয়ে এক বছরে মৃত্যুর সংখ্যা শীর্ষে, সেখানে কি ভাবছেন সরকারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর? বাংলাদেশ সরকারের অতিদ্রুত এই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।