বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বরিশাল ও রংপুর বিভাগের সকল অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শুধু তাই নয় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে আদালতে প্রতিবেদন ও দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন। হিউম্যান রাইট অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের একটি রিটের সম্পূ্রক শুনানি তে সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি জে.বি.এম. হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে আদালত বরিশাল ও রংপুর বিভাগে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বিবাদী রংপুর ও বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের চার সপ্তাহের সময় দিয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ ছাড়া উক্ত ব্যবস্থা সম্পর্কে আদালতে প্রতিবেদন দখিলের জন্য ২৫ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন।
আদালতে হিউম্যান রাইট অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন মো. সারওয়ার আহাদ চৌধুরী এবং রিপন বাড়ৈ।
শুনানিতে এইচআরপিবির পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ভাবে ইটভাটা গুলো পরিচালিত হচ্ছে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং প্রশাসন তাদের উচ্ছেদ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আদালতে উক্ত অবৈধ ইটভাটাসমূহ বন্ধের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন।
বাদী পক্ষে শুনানি কালে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও নাছরিন সুলতানা।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাইনুল ইসলাম (ডিএজি)।
উল্লেখ্য ২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সমগ্র বাংলাদেশের অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করার জন্য জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। আদালত রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করতে সকল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ প্রদান করেন।
এই নির্দেশনা মোতাবেক বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের প্রদানকৃত প্রতিবেদনে দেখা যায় বরিশাল বিভাগে ১২২টি ও রংপুর বিভাগে ৮০০ টি সর্বমোট ৯২২টি অবৈধ ইটভাটা এখনো সচল রয়েছে এবং বিভাগ দুটি সম্পূর্ণরূপে এসব অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর এ কারণেই এইচআরপিবি’র পক্ষে এক সম্পূরক আবেদন দাখিল করে উক্ত অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এসব অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে ২৫ এপ্রিল আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন।’