কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিদ্যুৎ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুল তথ্যে বৈদ্যুতিক শকে দুই হাত হারানো পঙ্গু সাঈদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের মিলন মালিথার ছেলে সাঈদ আহম্মেদ (২৪) গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে একই উপজেলা বহলবাড়িয়া গ্রামের সাহাবুলের ছেলে বিদ্যুৎ এর সাথে বিদ্যুৎ বিভাগের কন্ট্রাক্টর অপুর মালিকানাধীন নোভায়ন কোম্পানীতে মাসে ১৯ হাজার টাকা বেতনে চাকরির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া এলাকায় যায় এবং সাঈদ আহাম্মেদ তার সুপারভাইজার বিদ্যুৎ এর হুকুম মোতাবেক সব কাজ করতে থাকেন।
গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুপারভাইজার বিদ্যুৎ সাঈদকে কুতুবদিয়া এলাকার একটি বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের জন্য খাম্বায় তুলে দেন এবং জানান যে কাজের জন্য এখন বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করা আছে কিন্তু ঐ সময় বৈদ্যুতিক সংযোগ চালু থাকায় বিদ্যুতের খাম্বায় উঠার সাথে সাথে সাঈদ আহমদ বিদ্যুতের শক খেয়ে বিদ্যুতের লাইনের তারের সাথে ঝুলতে থাকে একপর্যায়ে লাইন বন্ধ করে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।সেখান থেকে পরে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হয় এবং তার দুই হাত কেটে ফেলা হয় চিকিৎসক জানান বৈদ্যুতিক শকের কারণে সাঈদ আহাম্মেদের দুই পা ও মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সে সময় সাব কন্ট্রাক্টর বিদ্যুৎ দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করা সাঈদ আহাম্মেদ কে সকল ধরনের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রদান করেন।
দুর্ঘটনার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও সাব কন্ট্রাক্টর বিদ্যুত এখন পর্যন্ত তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করায় চিকিৎসা শেষে দুই হাত হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে সাঈদ আহাম্মদে তার নিজ বাড়িতে অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে।তিনি জানান,বহলবাড়িয়া গ্রামের সাহাবুল বা তার ছেলে বিদ্যুৎ তার পুনর্বাসনের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহন করছেনা এমনকি তার ফোনও রিসিভ করছেনা।এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাব কন্ট্রাক্টর সাহাবুল ইসলাম জানান,আগামী ২০ রমজানের মধ্যেই কোম্পানির সাথে কথা বলে তার একটি পূনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে।