1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কবিরহাটে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে ভিজিএফের ২৭শত ৫০কেজি চালসহ তিন গ্রেপ্তার, থানায় মামলা লক্ষ্মীপুরে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা কয়রায় তিন দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল, দুর্ভোগে যাত্রীরা লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার ২ উল্লাপাড়ায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করণে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পটুয়াখালীতে ৪ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে দুধ ও টি শার্ট বিতরন গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলন সড়ক দুর্ঘটনায় সৈয়দপুর উপজেলার এক ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী নিহত

কপোতাক্ষ নদে বৃটিশদের তৈরী ভাঙ্গা ব্রিজটি ইতিহাসের সাক্ষী

মেহেদী হাসান শিপলু
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
  • ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

যশোরের চৌগাছার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কপোতাক্ষ নদে আজও ঠাই দাঁদিয়ে আছে বৃটিশদের হাতে তৈরী ব্রিজের ধ্বংশাবশেষ। নদ খননের কারনে ঐতিহাসিক এই থাকবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শংসয়। তবে ভবিষ্যাত প্রজন্মের জন্য এটিকে সংরক্ষন করা জরুরী এমনটিই মন করছেন সচেতন মহল। চৌগাছা পৌর সদরের পশ্চিমপাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ। বৃটিশ শাসনামলে খরস্রোতা কপোতাক্ষ নদ পারাপারের জন্য বর্তমান বড় মাছ বাজারের নিচে নির্মান করা হয় একটি সুবিশাল ব্রিজ। জনশ্রুতি আছে কপোতাক্ষের প্রবল স্রোতের কারনে ইট আর চুন সুড়কি দিয়ে নির্মিত ব্রিজ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি, স্রোতের দাপটে তা উপড়ে যায়। নদের পশ্চিম পাশে
ব্রিজের অবশিষ্ঠ আজও বিদ্যামন।

নদ খননের ফলে ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ থাকবে কিনা দেখা দিয়েছে শংসয়। কংশারীপুর গ্রামের দামোদার
আলী, তারিনিবাস গ্রামের বয়োবৃদ্ধ ফজলুর রহমান, স্বরুপদাহ গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, কপোতাক্ষ নদ তথা নদের ভাঙ্গা ব্রিজ
এখন শুধুই স্মৃতি। দেশ স্বাধীনের পরেও আমরা দেখেছি কপোতাক্ষে অঢেল পানি। তারও আগের কথা বর্তমানে যেখানে ব্রিজটি ভেঙ্গে
আছে সেখানে একটি দোয়া আছে। সচারচার মানুষ স্থানটিতে যেতেন না। জেলেরা মাছ ধরতে গেলেও দোয়ার পাশ দিয়ে চলাচল
করতো। বাবা দাদাদের মুখে শুনেছি বৃটিশরা তাদের সুবিধার্তে দোয়ার পাশ দিয়ে ওই ব্রিজটি নির্মান করেন। কিন্তু বেশি দিন
স্থায়ী হয়নি, পানির স্রোত দাপটে ব্রিজ উপড়ে যায়। এরপর বর্তমানে চৌগাছা ব্রিজের সন্নিকটে খেয়া পারাপার শুরু হয়।বর্ষা মৌসুমে কংশারীপুর মহল্লা ছাড়িয়ে যেত পানি। সেখান থেকে মানুষ খেয়া পারাপার হতেন। নদের ওই সময়ের কাক চক্ষু পানি আর মাছের সমাহার আজ শুধুই অতীত। পৌরসভার কালিতলা মহল্লার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, রবিন্দ্র নাথ বলেন, কপোতাক্ষ নদ তার যৌবন বহু আগেই হারিয়েছে। এখন নদ খনন চলছে, দেখে বেশ ভালই লাগে।

নদটি যদি পরিপূর্ণ খনন হয়, তাহলে এর হারানো যৌবন হয়ত ফিরে আসবে না তবে কিছুটা হলেও সকলের কাছে ভাল লাগবে।স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে তারা বলেন, বৃটিশদের শাসন শোসনের সময় চৌগাছাতে তারা অনেক কিছুই নির্মান করেন। তারমধ্যে ছিল কপোতাক্ষের ব্রিজ। কিন্তু পানির স্রোতের কারনে তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি এমনটিই শুনেছি। ব্রিজের যে ভাঙ্গা অংশটুকুও আজও দৃশ্যমান এটি সংরক্ষন করা জরুরী কেননা এই ধ্বংসাবশেষ থেকে আগামী প্রজন্ম আনেক কিছুই জানতে বা শিখতে পারবে। চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল বলেন, যেহেতু কপোতাক্ষ নদের পশ্চিম পাশে আমরা একটি শিশুপার্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।সে জন্য দর্শনীয় স্থান হিসেবে ভাঙ্গা ব্রিজ নদে রাখার ব্যাপারে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com