প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক।কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করছেন। রংপুরের আমচাষীদের কথা চিন্তা করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য হাড়িভাঙ্গা আমকে জিআই পন্যের মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁর সাথে আলোচনা করে হাঁড়ি ভাঙ্গা আম ও আম চাষিদের উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রশিক্ষণ দিয়ে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জে হাঁড়িভাঙ্গা আম মেলার উদ্বোধনকালে কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ একথাগুলো বলেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে ১৫ দিন ব্যাপি হাঁড়ি ভাঙা আম মেলার উদ্বোধন ও প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এর আগে তিনি মেলায় বসানো প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করে হাঁড়িভাঙা আমের মেলা সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জাকির হোসেন সরকার এমপি গবেষণা করে হাঁড়িভাঙা
আমের উৎকর্ষ সাধন এবং ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত করনে হিমাগার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। তিনি রানীপুকুর হতে পদাগঞ্জ সড়ক প্রশস্ত করার বিষয়ে কৃষি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আম মেলার উদ্বোধনী সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মাসুদ করিম, বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, পুলিশের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল, মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মনসহ বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই জেলা-উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করে। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই মেলা প্রাঙ্গন ভরপুর হয়ে উঠে। মেলায় বিভিন্ন স্টলে হাঁড়িভাঙা আমসহ বিভিন্ন আম এবং আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এর বক্তেব্যের পর আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান। এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত শিল্পীরা।