খুলনায় একটি বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে ডাকাতি ও বাগদত্তা মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা বাড়ি থেকে নগদ তিন লাখ টাকা ও ১১ ভরি স্বর্ণলঙ্কার লুট করেছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ভোরে দিবাগত রাতে ডুমুরিয়া উপজেলার কৈয়া বাজার সংলগ্ন বাঁশগোলার পাশে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারটির প্রধান অবসর প্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কৈয়া বাজার সংলগ্ন এক তলা বাড়িতে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার ভোর রাতে অজ্ঞাত তিন দুর্বৃত্ত ছাদঘরের গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকতার ওপর চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অচেতন অবস্থায় ছাদের ঘরে ফেলে যান। পরে তারা নীচে নেমে তাঁর স্ত্রীকে একই কায়দায় অচেতন করে রান্না ঘরে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে সদ্য বাগদান (আর্শীবাদ) হওয়া মেয়ের ওপর স্প্রে করে প্রথমে অচেতন ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা বাড়ি থাকা তিন লাখ টাকা ও ১১ ভরি স্বর্ণকার লুট করে পালিয়ে যায়। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার জ্ঞান ফিরলে তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার মেয়ে ও তাঁর অসুস্থ্য মাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে গোবিন্দ নামে একজন যুবক বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই প্রস্তাবে মেয়ের পরিববার রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছে। তাকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি সনাক্ত করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।