খুলনার কয়রায় মাসুম বিল্লাহ নামের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন কর্মসুচী প্রকল্প (৪০ দিনের) কাজের অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গোবরা গ্রামের আয়ুব আলী মল্লিক গত ২৭ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মাসুম বিল্ল্যাহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যঅর্থ আত্নসাতের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার গোবরা গ্রামের মৃত আফতাব মিস্ত্রীর পুত্র মোঃ আয়ুব আলী। গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের৷ ৪০ দিনের কর্মসুচী প্রকল্পের কয়রা সদর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওর্য়াডের কাজের টাকা প্রকৃত শ্রমিককে না দিয়ে কৌশলে আত্মসাত করা হয়েছে। প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ সহকারি প্রকৌশলী পার্থ চক্রবর্তীর সহযোগিতায় এই অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে । তিনি আরও বলেন , আমি নিজেও কাজ করি। কাজের অর্থের জন্য নগদ খোলা একাউন্ট নম্বর দিযে দেই। কিন্তু আমার একাউন্টে কাজের টাকা না দিয়ে ২নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্যর কাছের ব্যাক্তি ইয়াছিন মোড়লের মোবাইল একাউন্টে টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইকরামুল হকের টাকা তার মোবাইল একাউন্টে না দিয়ে অন্য একটি নম্বরে দেওয়া হয়েছে। আবু হানিফ নামের একজন কাজ করলেও ১৬ হাজার টাকা তার মোবাইল একাউন্টে না দিযে বিশ্বজিৎ নামের এক ব্যাক্তির মোবাইল নম্বরে টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের অনেক ব্যাক্তির নামের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ অভিযোগের বিষয়ে কথা হলে ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তার মধ্যে ১ জন ৫ দিন কাজ করে আর কাজে আসেনি। অন্য বাকি ২ জন মোটেও কাজ করেনি। পরে বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানালে তারা অন্য লোক দিয়ে কাজ করার অনুমতি প্রদান করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী পার্থ চক্রবর্তী বলেন, ইকরামুলের বিষয়টি আগে থেকে জানি এটা মিষ্টেক হয়েছে। বাকি ২ জনের কথা আমি কিছুই জানিনা।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে তদন্ত শেষ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।