1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজশাহী জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত সভাপতি আসাদ-সম্পাদক আখতার ভেড়ামারা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিশেষ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ৪ দলীয় ফুটবল খেলার উদ্বোধন কালীগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নায়েব আলী’র ইন্তেকাল হিলিতে স্বল্প মূল্য টিসিবি পণ্য বিক্রয় শুরু। এইবার তেল না থাকায় হতাশ কার্ডধারীরা টঙ্গি ইজতেমার মাঠে হামলার প্রতিবাদ খুনিদের বিচার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবীতে হিলিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ নওগাঁয় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি পালন শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত-১ গলাচিপায় বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত টাকা ছাড়া সেবা দেয় না -জাহিদ কাওছার

বহুল কাঙ্খিত গলাচিপা সেতুটি হলে কমবে পথ, বাঁচবে সময়

মোহাম্মদ আহসান
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালী জেলার বহুল কাংখিত গলাচিপা সেতুটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে একনেকে অনুমোদন হয়েছে এবং প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় গলাচিপা সেতু। কাজটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর। সর্বশেষ সংশোধনীতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২১ কোটি টাকা।টুয়াখালীর রামনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগীয় সদর ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে গলাচিপা উপজেলার নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ আরও সহজতর হবে রামনাবাদ নদীর উপর প্রস্তাবিত গলাচিপা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে। প্রতিদিন এই নদী থেকে ফেরি পারাপার হয়ে জেলা, বিভাগ ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে শতাধিক যানবাহন।ফেরি ও ট্রলারে পারাপারে সময় নষ্টের পাশাপাশি নানামুখী ভোগান্তি পোহাচ্ছে বিভাগীয় শহর ও রাজধানী গামী যাত্রীরা। মুমূর্ষু রোগীদের এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরি পারাপারের জন্য। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক প্রস্তাবিত গলাচিপা উপজেলার রামনাবাদ নদীর ওপর গলাচিপা সেতু নির্মাণ ৫২১ কোটি টাকা প্রাক্কালিত ব্যয়ে জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ সালে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও এখনো সেতু নির্মাণের কাজ শুরু না হওয়ায় উৎকন্ঠায় দিন পার করছেন গলাচিপা উপজেলার মানুষ।কটি সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে দিন যাপন করতে হচ্ছে গলাচিপা সহ পার্শ্ববর্তী রাঙ্গাবালী ও দশমিনা উপজেলার ১০ লাখ মানুষের। তিন উপজেলার মানুষের বহু বছরের লালিত স্বপ্ন গলাচিপা নদীর ওপরে গলাচিপা সেতু নির্মিত হবে।প্রাইভেট কার ড্রাইভার মোঃ রনি জানান, গত ত্রিশ বছর ধরে শুনে আসছি গলাচিপা সেতুটি হবে কিন্তু বাস্তবে কোন কার্যক্রম চোখে পরছে না। আমাদের অনেক ভোগান্তি হয় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরির জন্য। ব্রিজটি হোক এটা আমাদের জোর দাবি।সাবেক সেনা কমান্ডার আবদুল হালিম জানান, আমরা এখানে অবস্থান করতেছি গলাচিপা টু পটুয়াখালীর যোগাযোগ পথে রামনাবাদ নদীর মাঝখানে ফেরিতে। এ ফেরিতে দীর্ঘদিন ধরেই ছোলো ভাবে চাইলা আসতেছে এতে যাত্রীর দারুণ ভোগান্তি। যেমন, আমি এখানে আসছি এক ঘন্টা হয়ে গেলো আমার জরুরী কাজ হরিদেপুর যেতে পারছি না। খেয়া পাড়াপাড়ে ঘাটে ১০ টাকা দিতে হয় অনেকের সে সামর্থ্য থাকেনা। তারা ফেরিতে উঠলে পরতে হয় ভোগান্তিতে। দীর্ঘদিন ধরে শুনতেছি এখনে ব্রিজ হবে সরকার পরিবর্তন হয়, এমপি পরিবর্তন হয় কিন্তু কার্যকর কিছুই দেখিনা। যে পরিস্থিতি দেখতেছি আমরা জীবিত অবস্থায় নাও দেখতে পারি, আল্লাহপাক জানেন কবে এ সেতু দেখতে পারবো।স্থানীয় সাধারণ জনতা হারুন জানানঃ আমার বয়স তো পঞ্চাশ ওভার হইছে আর বিশ-ত্রিশ বছর ১৯৯৬ থেকে শুনতেছি এ সেতু হবে রাস্তা হচ্ছে কিন্তু সেতু আসতেই আছেনা। তবে আমাদের এ সেতু খুবই দরকার। রাঙ্গাবালী, দশমিনা, বাউফল এবংকালাইয়া যোগাযোগের জন্য সেতুটি হলে খুবই ভালো হয়।গণ অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলা শাখার আহবায়ক জানান, রামনাবাদ সেতুটি আমাদের দীর্ঘদিনের আশা ছিল। আমরা ইতিমধ্যে এর সুফল ভোগ করতে যাবো ইনশাল্লাহ। অনতিবিলম্বে এর কাজ ধরবে। রামনাবদ সেতু আমাদের ও-ই কান্তিক প্রচেষ্টার ফল। গলাচিপা সেতুর কারণে প্রায় আট-দশ লাখ মানুষের যোগাযোগের ভোগান্তি লাগব হবে। রাঙ্গাবালী, দশমিনা সহ চরকাজল ও চর বিশ্বাসের আপামর জনগণের দুঃখকষ্ট লাগোব হবে।জামাত ইসলামি বাংলাদেশ জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইহাইয়া খান জানান, যে এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা যতো ভালো সে এলাকা তত উন্নত হয়। আপনারা যে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন গলাচিপা সেতু এ প্রসঙ্গটি অতন্ত্য জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ। রামনাবাদ নদীর ওপর গলাচিপা সেতু করা হচ্ছে, করতে হবে এবং একনেকে প্রস্তাবিত এ কথাগুলো দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় জনবহুল এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সেতু না থাকার কারণে পটুয়াখালী, বরিশাল ও ঢাকায় চিকিৎসার জন্য যাতায়াত পথে যেভাবে কষ্ট করছে এ কষ্টটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। উপজেলার প্রতিটি মানুষই এ কষ্টের সাথে জড়িত। অতি দ্রুত রামনাবাদ নদীর ওপর গলাচিপা সেতু করা হলে এ উপজেলার মানুষজন আরও সাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারতো। গলাচিপার এ শহরটি এরকম অবহেলিত থাকতোনা আরও গুরুত্বপূর্ণ শহর হয়ে দাড়াতে পারতো।বিএনপির উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, গলাচিপা উপজেলার রামনাবাদ নদীর ওপর গলাচিপা সেতু লাখ লাখ লোকের প্রাণের দাবি। তিন উপজেলায় দশ লাখ লোকের বসবাস। পাশ্ববর্তী রাঙ্গাবালী উপজেলার লোকজন গলাচিপা উপজেলা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে তাদের বাহির হওয়ার আর কোন রাস্তা নাই। কাজিই এই সেতুটি জরুরি ভিত্তিতে হওয়া প্রয়োজন দীর্ঘদিনের দাবি এই এলাকার লোকের। আমরা ইদানীং শুনতে পারছি এ সেতুর কাজ শুরু হবে মানুষ আশায় বুক বাঁধে আছে। যত দ্রুত গলাচিপা সেতুটি সম্পন্ন হবে অতই মানুষের স্বপ্ন পুরনো হবে। উপজেলার মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, গলাচিপা উপজেলার রামনাবাদ নদীতে দীর্ঘদিনের একটি সেতু নির্মাণের যে দাবি এ অঞ্চলের মানুষের আর সে মানুষের দুর্ভোগ লাগবের জন্য সেতুটি দ্রুত প্রয়োজন। রামনাবাদ চ্যানেলে সেতুটি বর্তমানে প্রস্তাবিত ও অনুমোদিত। সেতুটি নির্মাণ হলে মানুষের দীর্ঘদিনের যাতায়াতে কষ্ট এবং খেয়া ও ফেরি পারাপারের যে দূর্দশা তা লাগব হবে।পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে রাঙ্গাবালী, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সাথে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন আসবে। সারাদেশের সাথে চালু হবে ফেরি বিহীন সড়ক যোগাযোগ। এ সেতু নির্মাণ করা হলে ভ্রমণ সময় হ্রাসসহ যানবাহন পরিচালন ব্যয় বাবদ প্রতি বছর প্রায় ৩৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এই অঞ্চলের ১০ লাখ মানুষের কমবে পথ, বাঁচবে সময়। দেশের অর্থনৈতিতে অপার সম্ভাবনায় রূপান্তরিত হবে এই অঞ্চলগুলো।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com