ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ নিয়ে পিরোজপুর-২ আসন। সেখানে ৩৮ বছর ধরে এমপি ১৪ দলীয় জোটের শরিক জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। আবারও তিনি জোট থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। সব সময় নির্বাচনে বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করলেও এবার লড়াইটা ঘরের লোকের সঙ্গে। তারই এক সময়ের সহকারী একান্ত সচিব মহিউদ্দিন মহারাজ এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
জানা যায়, প্রায় চার লাখ ভোটারের জনপদ ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ উপজেলা। শীতের মধ্যেও একাধিক নদীবেষ্টিত এ এলাকায় চলছে ভোটের প্রচারণা। দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা। এ আসনটি ভোটের লাড়াইয়ে কাগুজে সাত প্রার্থী থাকলেও নৌকা ও ঈগলের বাইরে কারও প্রচারণা চোখে পড়ে না।
স্থানীয়রা বলছেন, তারা ভোট দিতে চান। সেজন্য সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ থাকতে হবে। এখানকার প্রবীণরা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে থাকলেও যুব ছাত্রদের একটা বড় শক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী মহারাজের সঙ্গে। তবে এখানে লড়াইটা বেশ শান্ত।
নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভোটে হারজিত থাকবেই। কেউ যদি হার না মানেন, তার নির্বাচনে আসা উচিত নয়।’
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ মনে করেন, মঞ্জু সাহেবের বয়স হয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি এমপি ছিলেন। তার এখন নতুনদের ছেড়ে দেওয়া উচিত ।