দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে ৬ স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এরই মধ্যে ২৬ জনের ম্যাজিষ্ট্রেট নির্বাবনী এলাকায় টহল দেয়া শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী ও আনসার সদস্যরা চারটি আসনেই টহল দিচ্ছেন।
সুত্র জানায়, জেলার চারটি সংসদীয় আসনে ৫২৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২২৭টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ। যারমধ্যে বিচ্ছিন্ন এলাকার ২৬ ঝুকিপূর্ণ। এসব ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতেও রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এদদিকে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা শেষ হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা এখন অপেক্ষায় আছেন কখন তারা ভোট দিতে যাবেন। যদিও বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘন্টার সকাল সন্ধ্যা হরতাল নিয়ে ভোটাররা কিছুটা চিন্তিত থাকলেও জেলা রির্টানিং অফিসার বলছেন, কঠোর নিরাপত্তা বাবস্থা নেয়া হয়েছে, কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘঠবে না, ভোটারদের উপস্তিতি থাকবে সন্তোষজনক।
ভোলার চারটি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৮ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬ হাজার ১২০ জন।
ভোলা সদর আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৪ জন, ভোলা-২ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪০ জন, ভোলা-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৭ জন এবং ভোলা-৪ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮১ জন।
জেলা রির্টানিং অফিসার কার্যালয়ে সুত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে কাজ করছে প্রায় ১১ হাজার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকাে বাহিনী। যাদের মধ্যে পুলিশ ১৭০৫জন পুলিশ, ৮২১জন নৌ বাহিনীর সদস্য, ১৮৩ জন বিজিবি ও ৩৪০জন আনসার সদস্য। এছাড়াও ৫৪টি মোবাইল টিম, ১০টি স্টাইকিং ফোর্স, ২৬টি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে।
ভোলার জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং অফিসার আরিফুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, চারটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন প্রার্থী। ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।