আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম সোমবার তার নির্বাচনী বগুড়া-৪ (কাহালু- নন্দীগ্রাম) এলাকায় ভোট গ্রহনে অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার ভোট বর্জন করার আবেদন করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিরের কার্যালয়ে।
এ সময় সাংবাদিকরা তার পরাজয় জানতে চান এবং বিদেশী পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে কোন অনিয়ম হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন সেখানে তার নির্বাচনে এমন ধস কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে হিরো আলম বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের চোখে ছানি পড়েছিল। তাই তারা দেখতে পাননি।
তার জনপ্রিয়তা ধস সম্পর্কে তিনি বলেন, তাকে কৌশলে হারানো হয়েছে। ২০২৩ সালে উপনির্বাচনে জাসদ সমর্থিত যে নৌকার প্রার্থী ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। সেই একই প্রার্থীর কাছে এমন করুন পরাজয় মেনে নিতে পারেন না। উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোট পেয়েছিলেন ১৯ হাজার ৫৭১ভোট। উপ-নির্বাচনে জাসদ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন পেয়েছেলেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। গত উপ-নির্বাচনে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন পান ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট। কংগ্রেস পার্টি হিসাবে হিরো আলম পেয়েছেন ২১৭৫ ভোট। এবারও তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন তিনি কিভাবে এবার এতো কম ভোট পান? ভোট কম পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এই নির্বাচন একটা নাটক। তিনি এবার নির্বাচন করতে চাননি। কিন্তু তিনি দেখতে চেয়েছিলেন এবার ভোট কি হয়। কিন্তু এই আসনে তার উপর দুর্নীতি হয়। ২৪ হাজার ভোট পেলেও দেখানো হয় তিনি ভোট পান ২১৭৫ ভোট।
ফলাফলে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি লিখিত ভাবে ভোট বর্জন করার জন্য ৮ তারিখে জেলা রিটার্নিং ও জেলা প্রশাসকের কাছে আসেন।