বিজিবির অধিনায়ক জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ টেকনাফ সাবরাং ইউপির শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ৫০০ গজ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে জালিয়াপাড়া নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধ এবং নাফ নদীতে টহলরত নৌ টহলদল নৌকার আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ০৫৪৫ ঘটিকায় পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি নৌ টহলদল ২-৩ জন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকা যোগে সীমান্তের শূণ্য লাইন হতে আনুমানিক ১.৬ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জালিয়াপাড়া এলাকায় নাফ নদীর তীরের দিকে আসতে দেখে।
তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই উক্ত ব্যক্তিরা একটি ব্যাগ নদীতে ফেলে নৌকা হতে লাফিয়ে দ্রুত দৌড়ে ঘন কুয়াশা এবং অন্ধকারের সুযোগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে নাফ নদীতে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ১টি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ৭০,০০০ (সত্তর হাজার) পিস ই#য়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় ০৬৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।