ফরিদপুরে নব নির্বাচিত জাতীয় সংসদ এর প্রতি জোড়ালো দাবি জানিয়েছে ফরিদপুরের সাধারণ জনগন। ফরিদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি হচ্ছে পুরাতন আলীমুজ্জামান বেইলী ব্রীজ। কুমার নদীর উপর দিয়ে এইব্রীজটি নির্মিত। কুমার নদীর পশ্চিম পাড়ে হাজি শরীয়তউল্লাহ বাজার আর পৃর্ব পাড়ে তিতুমীর (নিউ মার্কেট) বাজার।মার্কেট দুটি দুভাগে বিভক্ত।
শরীয়তুল্লাহ বাজারে হচ্ছে মাছ, মাংস সবজি তরকারী ও সব ধরনের পাইকারি বাজার। আর নিউ মার্কেটটি হচ্ছে যাবতীয় কাপড় কসমেটিকসসহ অন্যান্য বাজার। এ কারনে বেইলি ব্রীজটি দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লোক জনের আশা যাওয়া। কিন্তু সমস্যা
হয়ে পরেছে ফুটপাত নিয়ে কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে বেইলী ব্রীজটির উপরে দোকান বসিয়ে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। ব্রীজটিতে সাধারণ জনগন আরাম আয়েসে চলাচল করতে পারছেনা। রাস্তার উপরে। দোকান বসানো ব্যাক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কিছু নেতারা প্রতিদিন নগদে টাকার বিনিময়ে এখানে এদের কে বসিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে। এতে সাধারণ জনগনের যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।
ব্রীজ দিয়ে যাওয়ার পথে কামরুল, হাসান,কামাল, নুরুল নামে একাধিক ব্যাক্তিরা জানান, চলাচলে শুধু সমস্যাই হচ্ছে না আরো বড় সমস্যা হচ্ছে প্রতিদিন বাজার করতে আসা লোকদের পকেট মার হচ্ছে।
তারা আরো জানান, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিছু ব্যক্তি ব্রীজ এর উপর ফুটপাত দোকান বসিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা বিনা পুজিতে হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের দাবি নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যের প্রতি, বেইলি ব্রীজ টি থেকে ফুটপাত উঠিয়ে দিয়ে সাধারণ জনগনকে চলাচলের সু ব্যবস্থা এবং যারা এ অবৈধভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোড় দাবি জানাই।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ( ৯ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন জবাবে নব নির্বাচিত সাংসদ একে আজাদ বলেছেন, ফরিদপুরে কোন সন্ত্রাস, চাদাবাজ ও টেন্ডারবাজ থাকবে না। আমি এদের প্রতিহত করবো শক্ত হাতে।
“আপনারা আমাকে একটু সহযোগিতা
করবেন।”