নেত্রকোনা কেন্দুয়া উপজেলার অটোরিকশাচালক কাজল মিয়া। প্রতিদিন অটোরিকশা চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়েই কোনোভাবে চলে তার সংসার। অটোরিকশা চালাতে গিয়ে ঘর থেকে বের হন ভোরে। সারা দিন পরিশ্রম শেষে বাড়ি ফিরেন রাতে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহে তেমন যাত্রী পাচ্ছেন না। তারপরও ভোরে কাজের সন্ধানে অটোরিকশা নিয়ে চলে আসেন কেন্দুয়া বাজারে। সেখানে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় তার।

অটোরিকশাচালক কাজল মিয়া বলেন, শীতের তীব্রতা বেশি এবং অধিকাংশ সময়েই কুয়াশা থাকছে। এ কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কেউ বের হচ্ছে না। দিনের অনেকটা সময় যাত্রীর অভাবে বসে থাকতে হচ্ছে। সংসার চালাতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

নিন্ম আয়ের শ্রমজীবীরা জানান, তীব্র কুয়াশা ও শীতের কারণে মানুষ ঘরের বাইরে কম বের হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ও অফিসগামী মানুষ ছাড়া বাইরে তেমন লোকজনের আনাগোনা নেই।১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে কেন্দুয়া উপজেলা। কয়েক দিন ধরে এ উপজেলায় তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশা জেঁকে বসেছে। বইছে শেত্যপ্রবাহ।সরেজমিনে দেখা গেছে, রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কেন্দুয়ার জনজীবন। কনকনে বাতাসে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের অবস্থা নাজুক। শীতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু এই ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে। কৃষকরা তাদের গবাদিপশুকে পাটের বস্তা পরিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

নেত্রকোনা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) ভোরে কেন্দুয়া উপজেলায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। শনিবারে তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আদ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিয়া বলেন, শীতবস্ত্রের যা বরাদ্দ এসেছিল তা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কেন্দুয়ায় হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিম্নআয়ের মানুষ।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।